Sourav Ganguly | Shoaib Malik: `তোর খুব তেজ, তোকে আমি ছাড়ব না, তুই একবার বাইরে আয়`!
Sourav Ganguly`s stern warning to Shoaib Malik: শোয়েব মালিকের কথায় তেতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এসেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর সেই বিশেষ ঘটনার কথাই স্মরণ করলেন কামরান। তিনি জানালেন যে, সৌরভ কী পাল্টা দিয়েছিলেন শোয়েবকে!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতায় দুই দেশের মধ্যে বহু বছর কোনও দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ হয় না। ২০১২-১৩ সালে শেষবার এমএস ধোনির ভারত পাকিস্তানে গিয়েছিল মিসবা-উল-হকেদের সঙ্গে খেলতে। ভারত-পাকিস্তান শুধুই আইসিসি (ICC) ও এসিসি-র (ACC) টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হয় এখন। একে-অপরের দেশে গিয়ে বাইশ গজের যুদ্ধে মুখোমুখি হওয়া এখন অতীত। পাকিস্তানের অভিজ্ঞ উইকেটকিপার-ব্যাটার কামরান আকমল (Kamran Akmal)। ভারত-পাক টেস্টের স্মৃতিচারণ করলেন। সদ্যই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন কামরান। নাদির আলির ইউটিউব চ্যানেলে এসে কামরান স্মৃতিচারণা করেন। ২০০৫ সালের ভারত-পাকিস্তান টেস্টের একটি ঘটনা ভাগ করে নিয়েছেন প্রাক্তন পাক তারকা।
কামরান বলেন, '২০০৫ মোহালি টেস্টের ঘটনা বলব আমি। যেটা ক্রিকেট ইতিহাসে থেকে যাবে। তখন দানিশ কানেরিয়া বল করছিল। শোয়েব মালিক সিলি মিড-অনে ফিল্ডিং করছিল। সলমান বাট ছিল সিলি মিড-অফে। দানিশ লেন্থ মিস করেছিল। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় স্ট্রাইকে ছিল। সৌরভ চার মারে দানিশকে। তখনই শোয়েব মালিক বলে, কামরান দেখছিস, দাদার ওপর কত চাপ! ছয়ের বলে দাদা চার মারছে। সৌরভ পরের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে মারার চেষ্টা করে। তখনই স্টাম্প আউট হয়ে যায়। মাঠ ছাড়ার আগে শোয়েবকে সৌরভ বলে যায়, তোর প্রচুর তেজ, তোকে আমি ছাড়ব না, তুই একবার বাইরে আয়'! সৌরভ বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন কামরান বলেছিলেন যে, সৌরভের হাতেই ক্ষমতা রয়েছে ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ফেরানোর।
দ্য এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ওরফে এসিসি গত মাসেই এশিয়া কাপের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে হবে এশিয়া সেরা হওয়ার লড়াই। এবার ৫০ ওভারের ফরম্যাটে খেলা। গতবারের মতো এবারও দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান এক গ্পে। টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্যায়ে ন্যূনতম তিনবার দেখা যাবে 'মাদার অফ অল ব্যাটল'। সুপার ফোর এবং ফাইনালেও দেখা হতে পারে রোহিত শর্মা ও বাবার আজমদের । তবে এসিসি কিন্তু জানায়নি যে, কোন দেশে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ। এবার এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ কিন্তু পাকিস্তান। তবে বিসিসিআই একেবারেই রাজনৈতিক কারণে সেই দেশে গিয়ে কোনওরকম ক্রিকেট খেলতেই ইচ্ছুক নয়। বিসিসিআই নিজেদের অবস্থানেই অনড় রয়েছে।