নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০০৭ সালের ঘটনা। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সুনীল গাভাসকরের আমন্ত্রণ। আর তার পরেই মাত্র সাত মিনিটে টিম ইন্ডিয়ার কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন গ্যারি কার্স্টেন। বাকিটা তো ইতিহাস। ২০১১ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কৌশলী তাতে কোনও সন্দেহ নেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি কখনও কোচিংয়ে তেমন আগ্রহী ছিলেন না। এমনকী কোনও আবেদনও জমা করেননি। টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচের মতো হাইপ্রোফাইল চাকরি মাত্র সাত মিনিটেই পেয়েছিলেন প্রোটিয়া তারকা সেটাই এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন তিনি। ভারতীয় দলের কোচ নির্বাচনের প্যানেলে থাকা সুনীল গাভাসকরের আমন্ত্রণেই তিনি ইন্টারভিউ দিতে যান। তিনি বলেন, "আমি সুনীল গাভাসকরের থেকে একটা ই-মেল পাই। তাতে লেখা ছিল আপনি কি ভারতীয় দলের কোচিং কথা ভেবে দেখবেন?"


এরপর গ্যারি বলে চলেন, "প্রথমে আমি বিশ্বাস করতে চাইনি। এমনকী সেই মেলের কোনও উত্তরও দিই নি। এরপর উনি আমাকে আরও একটা ই-মেল পাঠান, তাতে লেখে ছিল যে আপনি কি ইন্টারভিউ দিতে আসতে পারবেন? আমি আমার স্ত্রীকে সেই মেল দেখাই। সে (আমার স্ত্রী) বলে, ওরা মনে হয় ভুল লোককে পাঠিয়ে দিয়েছে।"


অবশ্য ইন্টারভিউ দিতে এসে অনিল কুম্বলের সঙ্গে দেখা হয় কার্স্টেনের। দুজনে বেশ ঠাট্টা ইয়ার্কিও করেন। কোনও রকম কোচিং অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও ইন্টারভিউ দিতে হাজির হয়েছিলেন কার্স্টেন। এমনকী সেই ইন্টারভিউ প্যানেলে ছিলেন বর্তমান ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রীও। গ্রেগ চ্যাপেল পরবর্তী ভারতীয় ক্রিকেট দলের দায়িত্ব নেন শেষ পর্যন্ত গ্যারি কার্স্টেন।


দায়িত্ব নেওয়ার দু বছরের মধ্যে টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে উঠে আসে টিম ইন্ডিয়া। আরও দু বছর পর অর্থাত্ ২০১১ সালে ঘরের মাঠে ২৮ বছর পর কার্স্টেনের কোচিংয়ে ফের বিশ্বকাপ জেতে টিম ইন্ডিয়া।


আরও পড়ুন - IPL নাকি টি-২০ বিশ্বকাপ? কোনটা চান রোহিত শর্মা, জেনে নিন