নিজস্ব প্রতিবেদন : সব আয়োজন ছিল। কিন্তু শেষমেশ রান্নাটাই যেন জমল না। ডার্বি ড্র। তাও আবার গোলশূন্য। মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচের এমন নিরামিশ ফলাফল কি আর মেনে নেওয়া যায়! ডার্বির উত্তাপ তো ছিলই। সেইসঙ্গে দুই স্প্যানিশ কোচের ডুয়েল দেখার জন্যও অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেজান্দ্রো মেনেন্দেজ ও মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনার মগজাস্ত্রের লড়াই দেখার জন্য অধীর আগ্রহে বসে ছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু ডার্বির এমন তেল-ঝালহীন ফলাফল যেন দিনের শেষে সমস্ত উত্সাহে জল ঢেলে দিল। রবিবারের যুবভারতী থেকে অতৃপ্ত হয়ে ফিরলেন ৬৫ হাজার সমর্থক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  দিদিকে বলো-তে ফোন, স্ত্রীর চিকিত্সার জন্য আর্থিক সাহায্য পেলেন মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার


কলকাতা লিগে এখনও পর্যন্ত ইস্ট-মোহন মুখোমুখি হয়েছে ১৫৩টি ম্যাচে। যার মধ্যে ৫০টি জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। ৪৪টি মোহনবাগান। ড্র হয়েছে ৫৯টি ম্যাচ। কলকাতা লিগে দুই দলের জয়ের অনুপাতে যে খুব একটা তফাত নেই সেটা বোঝাই যায়। এদিন ৩৬৮তম কলকাতা ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। তাও আবার এক ইতিহাসের প্রহরে। শতবর্ষ উদযাপন শুরু হয়েছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে। লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে এখন তাই এমনিতেই খুশি খুশি ভাব। সেই আবহে আলাদা রঙ যোগ করতে পারত ডার্বি জয়। কিন্তু শেষমেশ তাঁদের হতাশ হয়েই যুবভারতী থেকে ফিরতে হল। 


গত মরশুমে দুটি ডার্বিতেই জিতেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেজান্দ্রো। সেই পরিসংখ্যানের জোরেই বুক বাঁধতে শুরু করেছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। এদিনও অবশ্য তিনি হারলেন না। মোহনবাগান কোচ ভিকুনা অবশ্য সাফ জানিয়েছিলেন, তাঁর দল তিন পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়েই নামছে। প্রথমার্ধে মোহনবাগানের পাসিং ফুটবল অবশ্য মন কাড়ল সমর্থকদের। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করেছিলেন মোহনবাগান ফুটবলাররা। কিন্তু কোনওটাই গোলে রূপান্তরিত হল না। জোসেবা বেইতা, ভিপি সুহের, নংদাম্বা নাওরেমদের একের পর এক আক্রমণে জেরবার হতে হল ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডারদের। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জোড়া সুযোগ ফস্কান ভিপি সুহের। 



ইস্টবেঙ্গল: লালথামুইয়া, কমলপ্রীত, পিন্টু (সামাদ) কাশিম, মার্কোস (কোলাডো) রোনাল্ডো (বিদ্যাসাগর), ডিডিকা, ক্রেসপি, অভিষেক, মেহতাব ও ব্রেন্ডন।


মোহনবাগান: দেবজিৎ, আশুতোষ, মোরান্তে, গুরজিন্দর, চুলোভা, সুরাবুদ্দিন (ব্রিটো), সাহিল, গঞ্জালেস, নাওরেম (জেসুরাজ) বেইতিয়া এবং সুহের।