জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) সঙ্গে নাকি তাঁর স্ত্রী নাতাশা স্ট্য়ানকোভিচের (Hardik Pandya and Natasa Stankovic) সম্পর্কে বিরাট ফাটল ধরেছে! তাঁরা একসঙ্গে আর থাকেনও না। এও খবর যে, হার্দিক-নাতাশার নাকি ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে! (Hardik Pandya And Natasa Stankovic Divorce)! এমনটা শোনা যাচ্ছিল চলতি বছর আইপিএল থেকেই। হার্দিক ভারতকে টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2024) জেতানোর পরেও, নাতাশার তরফে এখনও পর্যন্ত সোশ্য়াল মিডিয়ায় একটিও পোস্ট আসেনি। উল্টে নাতাশা নিত্য়দিন কিছু না কিছু পোস্ট করেই চলেছেন। যা ইঙ্গিতবাহী। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের ট্রফি স্পর্শ করতে চাননি মোদী! তবে প্রধামন্ত্রীর এই কাজ রাতারাতি সুপারহিট




হার্দিক যখন দেশে ফিরে কাপ জয়ের আনন্দে ডুবে আছেন। তখন নাতাশা ইনস্টায় ঠোঁট রাঙিয়ে রিলস পোস্ট করছেন। যা দেখে নেটপাড়ায় কমেন্টের ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন কমেন্টে ভরে গিয়েছে নাতাশার সেই পোস্ট। ঈশা মিশ্র নামে এক এক্স হ্য়ান্ডেল ব্য়বহারকারী লিখেছেন, 'দিদি, জিজা ওয়াপাস আ রহে হ্য়ায়'! বাংলায় যার তর্জমা করলে দাঁড়ায়, 'দিদি, জামাইবাবু ফিরে আসছে...'! কেউ আবার লিখেছেন যে, নাতাশা সাজছেন হার্দিকের জন্য়ই।


ভারতীয় ও সার্বিয়ান জুটির ভাঙনের ব্যাপারে কেউই কোথাও মুখ খোলেননি। তবে নাতাশা বা হার্দিক একের পর এক যে কাজ করে চলেছেন, তা সাফ বলে দিচ্ছে যে, আজ দু'জনে দু'টি ভিন পথ ধরেই হাঁটছেন। কীভাবে হার্দিক-নাতাশার বিবাহবিচ্ছেদের খবর ছড়িয়ে পড়ল? নাতাশা তাঁর ইনস্টাগ্রাম বায়ো থেকে হার্দিকের পদবি এখন মুছে ফেলেছেন। অর্থাৎ তিনি আগে লিখতেন নাতাশা স্ট্য়ানকোভিচ পান্ডিয়া। এখন শুধুই নাতাশ স্ট্যানকোভিচ লিখছেন। 



নাতাশার ইনস্টায় ঢুঁ মারলে দেখা যাবে যে, ১৪ সপ্তাহ আগে ভ্য়ালেন্টাইন'স ডে-র দিন তাঁর পরিবারের সঙ্গে ছবি রয়েছে। যেখানে হার্দিক ও তাঁদের সন্তান অগস্ত্য রয়েছে। সেই পোস্টও কিন্তু হার্দিকের করা। নাতাশা শুধু টাইমলাইনে নিয়েছিলেন। প্রেমদিবস কেটে যাওয়ার পর থেকে নাতাশা শুধুই নিজের এবং নিজের কাজের ছবি-ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। ২০২০ সালে  সার্বিয়ান মডেল নাতাশার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ভারতীয় অলরাউন্ডার। কিন্তু সেটা একেবারেই আইনি বিয়ে ছিল। এরপর তাঁরা হিন্দু ও খ্রিস্টান মতে দু'বার বিয়ে করেন। 


হার্দিকের জীবন থেকে শান্তি শব্দটাই বেপাত্তা হয়ে গেছিল এই কিছু মাস আগেও। রোহিত শর্মার বদলে যবে থেকে তিনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হন, তবে থেকেই তাঁর জীবনে শনি নেমে এসেছিল| তালিতে নয় তিনি গোটা দেশের গালিতে বেঁচেছিলেন তখন। গ্যালারির টিটকিরি আর বিদ্রুপ তাঁর কাছে প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে গিয়েছিল। হার্দিককে প্রায় প্রতিদিনই সমালোচিত হতে হয়েছিল। দেশ-বিদেশের মহারথীরা তাঁকে ধরে ধুয়ে দিতেন। আইপিএলের যুগ্ম সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজির অতীতের গরিমা, হার্দিকের অধীনে একেবারে রাতারাতি ম্লান হয়ে গেছিল। হার্দিকের দল সবার আগে আইপিএল থেকে বেরিয়ে গেছিল। তবে আজ আর কেউ সেসব মনে রাখতে চাইবে না না। পারলে বহু ভারতীয়ই একবার হার্দিককে 'সরি' বলতে চাইবেন।


আরও পড়ুন:১৬ ঘণ্টার উড়ানের পর বেজায় খিদে, ডায়েটকে গুলি মেরে বিরাট-রোহিত খেলেন...


 


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)