ওয়েব ডেস্ক: ওনার নাম রায়ান ক্যাম্পবেল। ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে দুটো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন উইকেটকিপার হিসেবে। খারাপ খেলেননি সেই দুটি ম্যাচে। কিন্তু অ্যাডাম গিলক্রিস্টের জন্য তাঁর আর দেশের হয়ে খেলা হয়ে ওঠেনি। এরপর সবাই তাঁকে ভুলে গিয়েছেন। দিন গেছে, মাস গেছে, বছর গেছে। রায়ান কিন্তু লড়াই ছাড়েননি। বুঝে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তাঁর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হবে না। তাই দ্বিতীয় জন্মস্থানের খোঁজে নেমে পড়েন রায়ান। রায়ান হংকংয়ে বিয়ে করেন। সেখানেই তাঁর ছেলের জন্ম হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিবার নিয়ে সুখেই হংকং থাকতে শুরু করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরও বেশি ম্যাচ খেলার স্বপ্নটা নিয়ে তখনও তিনি রাতে ঘুমোতে যেতেন। অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের ১৪ বছর পর স্মরণীয় প্রত্যার্বতন ঘটছে এই যোদ্ধার। এখন তাঁ। বয়স ৪৪। মার্চে শুরু হতে চলা টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন রায়ান। সুযোগটা কিন্তু অনেক পরিশ্রমের পরেই এসেছে। স্থানীয় ক্রিকেটে চোখ ধাঁধানো সব ইনিংস খেলেছেন তিনি। ক মাসে আগে রায়ান ১০৭ বলে ৩০৩ রানের অপরাজিত একটা ইনিংস খেলে সবার নজর কাড়েন। ২০১৩ সালে হংকংয়ের ব্যাটিং কোচ সবার আগে রায়ানকে খেলার প্রস্তাব দেন। সাত বছর হংকংয়ে থাকার পর দেশের নাগরিকত্ব পয়েছেন। হংকং দলে তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর দেশে এসে বিশ্বকাপ খেলবেন।


-----------
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২টি ওয়ানডে ম্যাচে রায়ান করেন ৫৪ রান। অভিষেক ম্যাচে তিনি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিডনিতে করেছিলেন ৩৮ রান।