নিজস্ব প্রতিবেদন— বিশ্বজুড়ে করোনার থাবা। প্রায় সব দেশেই চলছে লকডাউন। এমন অবস্থায় খেলাধূলা বন্ধ। বাড়িতে অবসর সময় কাটাচ্ছেন তারকারা। পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটছে বেশিরভাগ তারকরা। কিন্তু এই সময় দেশের অনেক তারকাই মাঠে নেমে পড়েছেন। লকডাউনে মহাসমস্যায় পড়েছেন চাষীরা। মাঠের ফসল কাটার জন্য শ্রমিক নেই। ফলে ফসল কাটতে সমস্যায় পড়ছেন চাষীরা। এরকম অবস্থায় বেশ কিছু আন্তর্জাতিক স্তরের খেলোয়াড় নিজেদের জমির ফসল নিজেরাই কাটতে মাঠে নেমেছেন। ভারতীয় মহিলা হকি দলের তারকা পুনম মালিক থেকে শুরু করে বক্সার অমিত পঙ্ঘল, অমিত কুমার, প্যারালিম্পিক অ্যাথলিট রিঙ্কু হুড্ডাও রয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রিও প্যারালিম্পিক গেমসে জ্যাভেলিন থ্রো—তে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন রিঙ্কু। লকডাউনে তিনি নেমে পড়েছেন গমের ক্ষেতে। রিঙ্কু বলছিলেন, নয় একর জমির গম তোলা হয়ে গিয়েছে। মেশিনে কাটা হয়েছে। আরও এক একর জমির গম তোলা বাকি রয়েছে। আশা করছি বৃষ্টি নামার আগে কাজ শেষ করে ফেলতে পারব। গত বছর ওয়ার্ল্ড বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে রূপো জয়ী বক্সার অমিত পঙ্ঘাল রোহতকে নিজের জমিতে কাজ করতে নেমে পড়েছেন। অমিত বললেন, আমি কিন্তু হামেশাই জমিতে নেমে কাজ করি। নিজের জমিতে কাজ করতে আমার ভাল লাগে। গম কাটার পর সেটা প্যাকেটে ভরতে হবে। আমি চাষীর ছেলে। জমিতে কাজ করলে আমার মন ভাল হয়ে যায়।


আরও পড়ুন— ফের ভারতের ব্যাপারে নাক গলালেন পাকিস্তানের রাজ্জাক, পান্ডিয়াকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য


ভারতীয় মহিলা হকি দলের তারকা পুনম কিন্তু মাঠে কাজ করছেন প্রথমবার। ২০০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন পুনম। ওমরাতে নিজের গ্রামে রয়েছেন তিনি। লকডাউনের জন্য খেলা বন্ধ। ট্রেনিং সেশন হচ্ছে না। তাই জমিতে নেমেছেন তিনি। পুনম বললেন, চারদিন ধরে মাঠে ধান কাটার কাজ করছি। সকাল ও বিকেল, দুবেলাই ধান কাটার কাজ চলছে। অলিম্পিকে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা আরেক বক্সার মনোজ কুমারও এই সময় ক্ষেতে কাজ করছেন। মনোজ বললেন, ১৯৯৯ সালে শেষবার মাঠে নেমে কাজ করছি। বক্সিং থেকে সময় বের করতে পারতাম না। তাই মাঠে নামা হত না। এখন হাতে সময় আছে। তাই এই সুযোগ ছাড়ছি না।