নিজস্ব প্রতিনিধি : ত্রিশের কোঠায় পৌঁছে তিনি কার্যত শ্লথ হয়ে পড়েছিলেন। ফিটনেস ও রিফ্লেকশন কমে এসেছিল। তবে তিনিও বিশ্বকাঁপানো স্ট্রাইকার। তিন কাঠি চেনেন বিলক্ষণ। কিন্তু ফিটনেস বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই বয়স তিনের কোঠায় যেতেই রোনাল্ডো নাজারিও আর ব্রাজিল ফুটবলের বাদশা রইলেন না। নিজের মূল্যায়ণ নিজেই করেছিলেন ব্রাজিলের প্রাক্তন তারকা। তার পর ফুটবল থেকে সরে দাঁড়ান। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৩৩-এর রোনাল্ডো কিন্তু এখনও ঝরঝরে। ফিটনেস নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। এমনকী নিজের থেকে দশ বছর কমবয়সীদের সঙ্গেও যুঝতে পারেন স্বচ্ছন্দ্যে। কেমন করে নিজেকে এতটা ফিট রাখেন রোনাল্ডো! এই প্রশ্নটা গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের। সিআরসেভেন-এর ফিটনেসই কি তাঁর সাফল্যের আসল রহস্য? ব্রাজিলের রোনাল্ডো কি তাই মনে করেন? বেশ কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ দিক জানিয়ে গেলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি। আর তাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল, বিশ্বের বাকি ফুটবলারদের থেকে ক্রিশ্চিয়ানো ঠিক কোন কোন জায়গায় এগিয়ে! 


আরও পড়ুন-  পথ সুরক্ষায় পূজারাকে দেখে শিখতে বলছে কলকাতা পুলিস


রোনাল্ডো বলছিলেন, ''আমি অনুশীলন করতাম করতে হয় বলে। ভাল ফুটবল খেলার স্বপ্ন দেখতাম। তাই অনুশীলন করাটা প্রয়োজন ছিল। অনেক সময় ভাল লাগত না কঠিন অনুশীলন করতে। তবুও করতাম। আর ক্রিশ্চিয়ানো অনুশীলনটা উপভোগ করে। ও অনুশীলন করতে ভালবাসে। এটা ওর সব থেকে ভাল দিক। ক্রিশ্চিয়ানো অনুশীলন থেকে বেশিদিন দূরে থাকতে পারে না। এটা ওর দারুণ ভাল দিক। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো নিজেকে ভালবাসে। এটা আরেকটা ভাল দিক। নিজের ফিট রাখার জন্য ও সব কিছু করে। আমার তো মনে হয়, রোনাল্ডো যেভাবে নিজের শরীর প্রতি যত্ন নেয় তা পৃথিবীর আর কোনও ফুটবলার নেয় না। এটাও ওকে বাকি সবার থেকে আলাদা করে রাখে। রোনাল্ডো সব সময় নিজেকে উন্নত করতে চায়। এই খিদেটাই ওকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।''


তা হলে কে এগিয়ে? ব্রাজিলের রোনাল্ডো নাকি পর্তুগালের? এর উত্তরও দিয়ে গেলেন রোনাল্ডো নাজারিও। বললেন, ''আমাদের মধ্যে কোনও তুলনা চলে না। আমরা দুজনেই স্ট্রাইকার। গোল করার লক্ষ্যে থাকি। তবে আমাদের অ্যাপ্রোচ আলাদা। ফুটবলে প্রতিযোগিতা আগেও যেমন ছিল এখনও তেমনই আছে। ফলে এই ব্যাপারে কোনও প্রশ্ন থাকা উচিত নয়। আমরা দুজন দুই যুগের ফুটবলার। তাই তুলনা করাটা যথাযথ নয়।''