নিজস্ব প্রতিবেদন : উপত্যকায় আশার আলো দেখাচ্ছেন তিনি। হুমাইরা মুস্তাখ বলছিলেন, ''কাশ্মীরকে এখন আর বিচ্ছিন্ন অঙ্গ হিসাবে কেউ মনে করবে না। কাশ্মীর ভারতেরই অঙ্গ। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা, মোবাইল নেটওয়ার্ক ফিরেছে আমাদের এখানে। আমি জম্মু-কাশ্মীরের হয়ে রেসিং ট্র্যাকে প্রতিনিধিত্ব করতে চাই।'' ইনিই কাশ্মীরের প্রথম মহিলা রেসার। গতে বাধা জীবন কাটাতে চাননি তিনি। তাই নিজেকে রেসার হিসাবে গড়ে তুলেছেন। তবে হুমাইরার প্রতিভার শেষ নেই। রেসিং ছাড়াও আরও অনেক কিছু করেন তিনি। তবে কার রেসিং তাঁর জীবনের প্রথম ভালবাসা। রেসিং নিয়েই এগিয়ে যেতে চান উপত্যকার প্রথম মহিলা রেসার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  মহত্ উদ্যোগ! দুই ম্যাচের পারিশ্রমিক মাঠ কর্মীদের দিলেন সঞ্জু স্যামসন



তিনি একজন মেডিক্যাল স্টুডেন্ট। সেইসঙ্গে পাইলট ট্রেনিং করেছেন। হুমাইরা বলছিলেন, ''যেভাবেই হোক আমাকে অ্যাড্রিনালিন চঞ্চল রাখতে হবে। তার জন্য আমি অনেক কিছুই করি। ছক ভেঙে অন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি। এখন আমি পুরোপুরি রেসিং নিয়ে এগোচ্ছি। আমার এই উদ্যোগ কাশ্মীরের মানুষকে দিশা দেখালে ভাল লাগবে।'' হুমাইরাকে নিয়ে ইতিমধ্যে প্রবল আলোচনা শুরু হয়েছে কাশ্মীরে। ছোটবেলা থেকে টিভিতে রেসিং দেখে উত্সাহিত বোধ করতেন হুমাইরা। তার পর কখনও যে দেখতে দেখতে গাড়ির প্রেমে পড়ে গেলেন নিজেই মনে করতে পারলেন না। 


আরও পড়ুন-  ''আমরা করব জয়!'' ইসরোর প্রচেষ্টা নিয়ে শেহবাগের কবিতা, গম্ভীরের স্যালুট


কোয়েম্বাটুরে জেকে টায়ার ন্যাশনাল রেসিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করবেন হুমাইরা। ২৩ বছরের হুমাইরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে প্রচণ্ড আশাবাদী। সচিন তেন্ডুলকরের ভক্ত হুমাইরার জন্ম জম্মুতে। সেখানেই বেড়ে ওঠা। কাশ্মীরের এই রেসার বলছিলেন, ''কাশ্মীরের মানুষের ভাবনা-চিন্তায় একটা বড়সড় পরিবর্তন প্রয়োজন। তা হলেই সব সম্ভব। আমরা কে কোথায় থাকি সেটা বড় ব্যাপার নয়। বড় হচ্ছে কে কেমনভাবে জীবন যাপন করি!'' সামনে আরও অনেকটা পথ চলা বাকি। সেটা জানেন হুমাইরা। আর এই পথ চলতে চলতে তিনি উদাহরণ রেখে যেত চান একের পর এক।