পদক নয়, রিও থেকে জীবন জিতে দেশে ফিরেছেন এই রানার
একটা পদকের জন্য `আত্মহত্যার চেষ্টা, আর জীবন জিতে নিয়ে ফিরে আসা`, আমরা সবাই সেদিন দেখেছিলাম যেদিন দীপা `ডেথ অব ভোল্ট` দিয়ে ভারতকে জগৎ শ্রেষ্ঠ করেছিলেন। অলিম্পিক মঞ্চে যতবার `প্রোদুনোভা ভোল্ট` দিয়েছেন দীপা ততবারই উৎকণ্ঠায় হৃদয়ে কম্পন অনুভব করেছে ১৩০ কোটির ভারত। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জায় এটাই প্রথম জয় নয়! আমাদের স্মরণে আছে মৃত্যুকে জিতে নেওয়া পর্বাতারোহী হনুমান্থাপ্পার কথা। একটানা ৬ দিনের লড়াই। ১৯,৬০০ ফুট উচ্চতায় সিয়াচেন হিমবাহের মাইনাস ৪০ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে জীবন জিতে নিয়েছিলেন সিয়াচেনের সেনাচৌকির ল্যান্সনায়েক হনুমান্থাপ্পা। পরে লড়াইয়ে মৃত্যু জেতে, জীবন হেরে যায়। এসবই এখন ধূসর অতীত! দীপার প্রোদুনভাও নাকি ১৫ বছরের অনুশীলনের ফল। কোনও মৃত্যু ভয় নেই! অলিম্পিকের আলো সদ্য নিভেছে, দেশ এখন দুই পদকজয়ী সাক্ষী ও সিন্ধুকে নিয়েই মেতে। পদকের ওপর বড্ড আলো এখন। লাইমলাইটে থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে এর পিছনেও রয়েছে একটা গভীর অন্ধকারের গল্প। নিকষ কালো এক রূঢ় বাস্তব। যেখানে ছিল মৃত্যু। কেবল মৃত্যু। আর এই `মৃত্যু উপত্যকা` থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে যিনি ফিরলেন তিনি ভারতের ম্যারাথন রানার জয়সা।
ওয়েব ডেস্ক: একটা পদকের জন্য 'আত্মহত্যার চেষ্টা, আর জীবন জিতে নিয়ে ফিরে আসা', আমরা সবাই সেদিন দেখেছিলাম যেদিন দীপা 'ডেথ অব ভোল্ট' দিয়ে ভারতকে জগৎ শ্রেষ্ঠ করেছিলেন। অলিম্পিক মঞ্চে যতবার 'প্রোদুনোভা ভোল্ট' দিয়েছেন দীপা ততবারই উৎকণ্ঠায় হৃদয়ে কম্পন অনুভব করেছে ১৩০ কোটির ভারত। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জায় এটাই প্রথম জয় নয়! আমাদের স্মরণে আছে মৃত্যুকে জিতে নেওয়া পর্বাতারোহী হনুমান্থাপ্পার কথা। একটানা ৬ দিনের লড়াই। ১৯,৬০০ ফুট উচ্চতায় সিয়াচেন হিমবাহের মাইনাস ৪০ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে জীবন জিতে নিয়েছিলেন সিয়াচেনের সেনাচৌকির ল্যান্সনায়েক হনুমান্থাপ্পা। পরে লড়াইয়ে মৃত্যু জেতে, জীবন হেরে যায়। এসবই এখন ধূসর অতীত! দীপার প্রোদুনভাও নাকি ১৫ বছরের অনুশীলনের ফল। কোনও মৃত্যু ভয় নেই! অলিম্পিকের আলো সদ্য নিভেছে, দেশ এখন দুই পদকজয়ী সাক্ষী ও সিন্ধুকে নিয়েই মেতে। পদকের ওপর বড্ড আলো এখন। লাইমলাইটে থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে এর পিছনেও রয়েছে একটা গভীর অন্ধকারের গল্প। নিকষ কালো এক রূঢ় বাস্তব। যেখানে ছিল মৃত্যু। কেবল মৃত্যু। আর এই 'মৃত্যু উপত্যকা' থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে যিনি ফিরলেন তিনি ভারতের ম্যারাথন রানার জয়সা।
"৮ কিলোমিটারের পথে কেবল মাত্র একবার জল পেয়েছি। ২ কিলোমিটার অন্তর অন্তর ক্যাম্প ছিল, তবে তা ছিল ফাঁকাই। আমি হয়ত সেদিন মরেই যেতাম", রিওর অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে কান্নার সুরে এই কথাই বললেন ভারতীয় অ্যাথেলিট ম্যারাথন রানার জয়সা। গোটা ম্যারাথন ইভেন্ট শেষ করতে জয়সা সময় নিয়েছেন ২ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট ১৯ সেকেন্ড। পদক থেকে 'আলোকবর্ষ' দূরে ৮৯ নম্বরে থেকেই ম্যারাথন শেষ করতে হয়েছে তাঁকে। পদক আসেনি ঠিকই, তবে রিও থেকে নিজের জীবন বাঁচিয়ে নিয়ে এসছেন জয়সা।