নিজস্ব প্রতিনিধি : অনেকেই হয়তো চমকে উঠেছিলেন খবরটা শুনে। না, অমিত পাঙ্ঘাল যে ৪৯ কেজি বিভাগের বক্সিংয়ে সোনা জিততে পারেন, এই বিশ্বাস অনেকেরই ছিল। তবে তিনি বিশ্বের এক নম্বর বক্সারকে হারিয়ে এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছেন, এই ব্যাপারটায় চমক ছিল। কারণ, গত বছর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বিশ্বের এক নম্বর বক্সার উজবেকিস্তানের হাসানবয় দুশমাতোভের কাছে হেরেছিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  এশিয়ান গেমসে পাকিস্তান বধ করল ভারত


অমিত পাঙ্ঘালের এণন কাণ্ডে চমকে ওঠার মতো কিছু নেই। কারণ, ঠিকঠাক পরিকল্পনা ও অদম্য জেদ থআকলে অনেক অসাধ্য যে সাধন কার যায় তা এই ভারতীয় বক্সার আরও একবার প্রমাণ করে গেলেন। অমিত বলছেন, ওর কাছে আগে হেরেছিলাম। এবার তাই প্রতিশোধ নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ওর বিরুদ্ধে নেমেছিলাম। কোচ স্যান্টিয়াগো নিয়েভা আমাকে ঠিকঠাক প্রস্তুতি করিয়েছেন। সেমিফাইনালে আমি প্রথম রাউন্ডে খুব খারাপ পারফরম্যান্স করেছিলাম। তবে এবার আর একই ভুল করিনি। 


আরও পড়ুন-  তাস 'পিটিয়ে' দেশকে সোনা এনে দিলেন কলকাতার দুই প্রৌঢ়


হাসানবয়ের বিরুদ্ধে ৩-২ ব্যবধানে জিতেছেন অমিত। দেশের একমাত্র বক্সার হিসাবে এশিয়ান গেমসের ফাইনালে উঠেছিলেন তিনি। অমিত বলছিলেন, ''কোচ আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ওকে যতটা সম্ভব কাউন্টার অ্যাটাক করতে। আমি সেটাই মাথায় রেখে লড়ছিলাম। এশিয়ান গেমসের আগে আমি ইংল্যান্ডে ট্রেনিং করেছি। ওটাই কাজে লাগল। আমি সাউথপ-এর বক্সারদের সঙ্গে ট্রেনিং করে অনেক কিছু শিখেছি। আপার কাট মেরে কীভাবে অ্যাডভান্টেজ নিতে হয় তা আমি ওদের থেকে শিখেছি।''


আরও পড়ুন-  বিশ্বের এক নম্বর বক্সারকে হারিয়ে সোনা জিতলেন ভারতের অমিত


পঙ্ঘালের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে তাঁর কোচ স্যান্টিয়াগো বলছিলেন, ''হাসানবয় প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক বক্সার। তাই শুরুর দিকে আমরা অমিতকে ওর থেক দূরে গিয়ে বাঁচিয়ে খেলতে বলেছিলাম। পরের দিকে হাসানবয় হাঁপিয়ে উঠেছিল। ওর পাঞ্চ ঠিকঠাক জায়গায় পড়ছিল না। অমিত তখন আক্রমাণাত্মক খেলল। আর তাতেই সাফল্য। প্রথম রাউন্ডে অমিত অনেক বেশি বুদ্ধি করচ করে খেলেছে।''