Suryakumar Yadav, ICC T20 World Cup 2022: সুযোগ পেলেই ফের চালিয়ে খেলবেন, অশ্বিনকে জানালেন নতুন `মিস্টার 360 ডিগ্রি`
এবি ডিভিলিয়ার্স ও সাইমন্ডসের ছায়ায় তিনি বসবাস করেন কিনা সেটা একমাত্র সূর্যই বলতে পারবেন। তবে এতটা লেখাই যায় যে সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতীয় দল চার নম্বর ব্যাটারকে পেয়ে গিয়েছে। দাপট বজায় রেখে ইতিমধ্যেই চলতি টি-টিয়েন্টি বিশ্বকাপে দুবার ম্যাচের সেরা হয়েছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সূর্যের উত্তাপে গোটা দুনিয়া ছারখার হয়ে যায়। বাইশ গজের যুদ্ধে বিপক্ষ তো কোন ছাড়! মহাকাশ থেকে সূর্য যেমন তেজ ছড়ান, ঠিক সেভাবেই ব্যাট-বলের যুদ্ধে প্রতিপক্ষকে ছারখার করে দিচ্ছেন সূর্য কুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। আর তাই তো টিম ইন্ডিয়ার (Team India) এই নতুন তারকাকে এবি ডিভিলিয়ার্সের (AB de Villiers) সঙ্গে তুলনা করে সূর্যকে 'মিস্টার 360 ডিগ্রি' (Mr 360 Degree) বলে দিলেন ডেল স্টেইন।
কেউ আবার ওঁর মধ্যে কয়েক মাস আগে প্রয়াত অ্যান্ড্র সাইমন্ডসকে (Andrew Symonds) দেখতে পান। এবি ডিভিলিয়ার্স ও সাইমন্ডসের ছায়ায় তিনি বসবাস করেন কিনা সেটা একমাত্র সূর্যই বলতে পারবেন। তবে এতটা লেখাই যায় যে সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতীয় দল চার নম্বর ব্যাটারকে পেয়ে গিয়েছে। দাপট বজায় রেখে ইতিমধ্যেই চলতি টি-টিয়েন্টি বিশ্বকাপে (ICC T20 World Cup 2022) দুবার ম্যাচের সেরা হয়েছেন। আগামি ১০ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডে নামবে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) দল। ১৫ বছরের খরা কাটিয়ে ঝুলিতে ট্রফি ভরাতে হলে, বাইশ গজে সূর্যের উত্তাপ ছড়ানো খুবই জরুরী। সেটা ক্লাসে সিক্সে পড়া ছেলেও জানে। এমন প্রেক্ষাপটে ভারতীয় দলের আর এক তারকা রবিচন্দ্রন অশ্বিনের (Ravichandran Ashwin) সঙ্গে নিজের উত্থান নিয়ে কথা বললেন 'স্কাই'। বিসিসিআই (BCCI) নিজেদের টুইটারে সেই সাক্ষাৎকার তুলে ধরেছে।
অশ্বিন: আমাদের সঙ্গে ফের একবার কথা বলবেন সূর্য। আচ্ছা তুমি প্রতি ম্যাচে বিস্ফোরক ইনিংস খেলার পর আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চলে আসো। কতটা বোর ফিল করো? ১ থেকে ১০-এর মধ্যে কত নম্বর দেবে?
সূর্য: একেবারেই বোর ফিল করছি না। বরং প্রতি ম্যাচে রান করতে, দেশকে ম্যাচ জেতাতে পেরে ধন্য। অনুশীলনে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এবং যেভাবে সবকিছু চলছে, তাতে আমি খুবই খুশি।
অশ্বিন: তোমার কোনও শট তো মাটি ঘেঁষে যায় না। কারও মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে না। আকাশ ছুঁয়ে প্রায় সব শট গ্যালারিতে গিয়ে পড়ছে। অস্ট্রেলিয়ার এত বড় স্টেডিয়ামে এমন ছক্কা মারার নেপথ্য গল্প কী? তুমি কি আদৌ গ্যাপ দেখো না, শুধু গ্যালারিতে থাকা মানুষদের দিকে তোমার নজর থাকে?
সূর্য: (হেসে) আমি সবসময় গ্যাপ দেখে শট মারি। আসলে আমি নিজের ব্যাটিংকে উপভোগ করছি। ক্রিজে চলে যাওয়ার পর আমি যেন এক অন্য জগতে চলে যাই। সেখানে শুধু আমিই প্রতিনিধিত্ব করি।
অশ্বিন: আজব সব শট কখনও আউট হওয়ার ভয় কাজ করে? না চাপ কাটানোর জন্য বলকে ওড়াও?
সূর্য: এমন সব আজব শট মারার ক্ষেত্রে সাফল্য বেশি পেয়েছি। মনে করে দেখো অনেক কম সময় আউট হয়েছি। তাই আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে। সেইজন্য ক্রিজে গিয়েই বল ওড়াতে শুরু করে দিচ্ছি। এবং ভবিষ্যতে এমন সুযোগ পেলে ফের এর সদ্ব্যবহার করব।
আরও পড়ুন: Rohit Sharma । ICC T20 World Cup 2022: নেট সেশনে হাতে চোট রোহিতের, আইস প্যাক লাগিয়ে ফিরলেন অনুশীলনে
অশ্বিন: তুমি কি খুব অস্থির? তোমার মধ্যে কি ধৈর্যের অভাব?
সূর্য: (আবার একগাল হেসে) না। আমি একেবারেই অস্থির মানুষ নই। আমি শুধু এই ফরম্যাট অনুসারে ব্যাট করে যাচ্ছি। দল ও ম্যাচের পরিস্থিতি যেমন পারফরম্যান্স আশা করছে, আমি ঠিক সেভাবেই নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করছি। সব বলে রান করার আমার একমাত্র লক্ষ্য। প্রথম বলেই যদি ছক্কা কিংবা চার মারার সুযোগ থাকে তাহলে অসুবিধা কোথায়!
অশ্বিন: আচ্ছা তুমি যদি ভারতের হয়ে বড় ফরম্যাটে খেলার সুযোগ পাও, তাহলে বোলারদের কিছুটা সম্মান দেবে?
সূর্য: হয়তো। কিংবা সেখানেও চালিয়ে খেলতে পারি!
অশ্বিন: এবার ক্যাচের প্রসঙ্গে আসি। রান করার জন্য তোমার আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। সেই আত্মবিশ্বাসের উপর ভর করেই কি একের পর এক কঠিন ক্যাচ ধরছ?
সূর্য: ব্যাটিং-এর সঙ্গে এর কোনও যোগাযোগ নেই। অনুশীলনে সবসময় বিভিন্ন ধরনের ক্যাচ ধরার অনুশীলন করে যাই। অনেক বছর ধরেই এভাবে নিজেকে তৈরি করছি। সেটার জন্য দলের ফিল্ডিং কোচের অনেক অবদান আছে।
অশ্বিন: অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবার এসেই ইতিহাস গড়ে ফেললে। সেই অজিদের বিরুদ্ধে ব্রিসবেনের ওয়ার্ম আপ ম্যাচ থেকে তোমার সোনালি ফর্ম চলছে। এর নেপথ্যে বিশেষ কোনও কারণ? কেমন লাগছে?
সূর্য: এখানে আসার পর থেকে সবাই আমাকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি পিচে প্রথমবার খেলেও কীভাবে সাফল্য পেলাম। আগেও বলেছি, আবার বলছি আমি ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেও এভাবেই অনুশীলন করতাম। সেই মাঠ এত বড় না হলেও, পিচে কিন্তু খুবই বাউন্স থাকে। তাছাড়া আমার সুবিধার জন্য কিউরেটর বাড়তি বাউন্স থাকা পিচ তৈরি করেছিল। তেমন পিচে দিন-রাত অনুশীলন করেছি। এদিকে আসার আগেও কিন্তু বড় স্টেডিয়ামে রান করেছি। আসলে এমন বড় মাঠ ও বাড়তি বাউন্সে ভরা পিচে ব্যাট করতে আমি উপভোগ করি।