ICC Under-19 World Cup: সিংহের দেশে ব্যাঘ্রগর্জন! ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার পচেস্ট্রুমে ইতিহাস লিখলেন ১১ বাঙালি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সিংহের দেশে ব্যাঘ্রগর্জন। ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। কোয়ার্টার ফাইনাল হোক কিংবা সেমি ফাইনাল থেকে বাড়ি। সেই সঙ্গে ভারতের কাছে বড় মঞ্চে বারংবার হার। বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের হৃদয় ভেঙেছে অনেকবারই। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথমবার উঠেই বরাবরের পথের কাঁটা ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার পচেস্ট্রুমে ইতিহাস লিখলেন ১১ বাঙালি।
বৃষ্টির বাধাও টাইগারদের হারাতে পারল না। বৃষ্টির জন্য যখন খেলা বন্ধ হয়ে যায় তখন ৪১ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান ছিল বাংলাদেশের। ডাক ওয়ার্থ লুইস নিয়মে তাদের টার্গেট দাঁড়ায় ১৭০। ৪২ ওভার ১ বলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।
ভারত-বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে টান-টান উত্তেজনা। উপমহাদেশের দুই দেশের লড়াই ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড দক্ষিণ আফ্রিকার পচেস্ট্রুমে। কোনও ম্যাচ না হেরে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল দুই দেশ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ভারতের ১৭৮ রানের টার্গেট নিয়ে ব্য়াট করতে নেমে ভালোই শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। ৫০ রানের ওপেনিং জুটি পারভেজ হাসান ইমন এবং তানজিদ হাসানের।
এরপরেই রবির ভেলকিতে পর পর উইকেট হারিয়ে বেকায়দায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। একা বিষ্ণোই নিলেন চার চারটি উইকেট। সঙ্গে দোসর সুশান্ত মিশ্রা। কিন্তু ৬ নম্বর উইকেট পড়ে গেলে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া ওপেনার ইমন ফের ব্য়াট করতে নামেন। অধিনায়ক আকবর আলির সঙ্গে সপ্তম উইকেট জুটিতে ম্যাচ জয়ের দিকে এগোতে থাকে। ৪৭ রানে ইমনকে ফেরালেন যশস্বী। ফের ভারতের ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন যশস্বী। একা লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক আকবর। ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। গোটা ম্যাচে ভারতীয় বোলাররা ৩৩ রান অতিরিক্ত দিলেন ।
ম্যাচের প্রথম বল থেকে ভারতের বিরুদ্ধে স্লেজিং ছিল বাংলাদেশের অস্ত্র। আর সেই অস্ত্রেই বডিলাইনে বোলিং করে বাজিমাত করলেন বাংলাদেশি পেসাররা। মাত্র ১৭৭ রানে আটকে রাখল ভারতকে। যশস্বী জয়সওয়ালকে কাবু করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। তিনি গোটা টুর্নামেন্টে নিজের ফর্ম একই জায়গায় ধরে রেখেছেন। এদিন ১২১ বল খেলে তিনি করলেন ৮৮ রান। তিনি এমন ইনিংস না খেললে এদিন হয়তো আরও কম রানে আটকে যেত ভারতীয় দল। বাংলাদেশের অভিষেক দাস এদিন সুযোগ পেয়েই দুরন্ত পারফরম্যান্স করলেন। নিলেন তিনটি উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম এবং হাসান শাকিব।