নিজস্ব প্রতিনিধি : ''আজহারকে রেহাই দিলে আমাকে নয় কেন?''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হতাশ শ্রীসন্থের প্রশ্নের কোনও সদুত্তর ছিল না সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির কাছেও। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি দিয়েছে। বহুবার সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেও কোনও ফল পাননি শ্রীসন্থ। এক ইংলিশ কাউন্টি ক্লাব শ্রীসন্থকে খেলার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু বিসিসিআই-এর খাঁড়ার জন্য তিনি খেলতে পারছেন না। হতাশা বাড়ছে। ক্রিকেটে ফেরার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না দক্ষিণী পেসার। চার বছর হয়ে গেল তাঁর নির্বাসন পর্বের। কেরিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সময় হারিয়ে ফেলেছেন নির্বাসনের অন্ধকার পর্বে। 


আরও পড়ুন-  চার বছর পর অশ্বিনের কামব্যাক সেই অ্যাডিলেডে, অজিদের উপর চাপ বাড়াচ্ছে ভারত


২০১৩ আইপিএল স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল শ্রীসন্থের। একইভাবে ফিক্সিং কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল ভারতের আরেক প্রাক্তন তারকা মহম্মদ আজহারুদ্দিনের। ২০০ সালে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে নাম জড়ায় তাঁর। এর পর ২০১২-য় অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট আজহারের উপর থেকে নির্বাসন তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় বিসিসিআইকে। আদালতের তরফে বলা হয়, বিসিসিআইয়ের দেওয়া শাস্তির নিদান বেআইনি। শ্রীসন্থ এবার তাই আজহারের উদাহরণ টানলেন। বললেন, ''যদি আজহারকে শাস্তি থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয় তা হলে আমাকে নয় কেন?''


আরও পড়ুন-  জীবনের শেষ ম্যাচ, সতীর্থদের সংবর্ধনায় 'গম্ভীর' থাকতে পারলেন না গৌতম


শ্রীসন্থের আইনজীবী সলমন খুরশিদ বলছেন, ''আমার মক্কেলের এমনিতেই ৩৫ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে। এই বয়সে ওর পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা মুশকিল। তবে ওর কাছে বেশ কয়েকটা কাউন্টি ক্লাবের অফার রয়েছে। আজীবন নির্বাসনের শাস্তি তুলে অন্তত ওকে ক্লাব ক্রিকেটে খেলতে দেওয়া উচিত।'' এদিকে, বিসিসিআই-এর আইনজীবী পরাগ ত্রিপাঠি বললেন, ফিক্সিং প্রসঙ্গে বিসিসিআই কোনও আপোস করবে না। তাই শ্রীসন্থের আজীবন নির্বাসন ওঠার সম্ভাবনা কম। প্রসঙ্গত, সব মিলিয়ে ৩৬ জন অভিযুক্ত ছিলেন স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে। তার মধ্যে শ্রীসন্থ, অঙ্কিত চভন ও অজিত চাণ্ডিলার মতো ক্রিকেটাররা ছিলেন। ২০১৫ সালে পাতিয়ালা হাউস কোর্ট শ্রীসন্থকে অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেয়। কিন্তু আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে ফের আপিল করে দিল্লি পুলিশ।