আমার প্রতি যারা বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে তাদের সবার নাম বলব: দানিশ কানেরিয়া
শোয়েবের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কানেরিয়া জানিয়েছেন, `শোয়েব সত্যি বলেছেন। আমি হিন্দু হওয়ায় পাক ক্রিকেট দলের যে সদস্যরা আমার সঙ্গে কথা বলতেন না তাদের নাম আমি জানাব। এই নিয়ে এতদিন মুখ খোলার মতো সাহস পাইনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তাঁর প্রতি বঞ্চনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া। বৃহস্পতিবার শোয়েব আখতারের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর পাক প্রধানমন্ত্রী তথা পাক ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ইমরান খানের কাছে সাহায্য চাইলেন তিনি।
শোয়েবের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কানেরিয়া জানিয়েছেন, 'শোয়েব সত্যি বলেছেন। আমি হিন্দু হওয়ায় পাক ক্রিকেট দলের যে সদস্যরা আমার সঙ্গে কথা বলতেন না তাদের নাম আমি জানাব। এই নিয়ে এতদিন মুখ খোলার মতো সাহস পাইনি। কিন্তু এবার বলব।'
একই সঙ্গে কানেরিয়া বলেন, 'ইংল্যান্ডে কাউন্টি খেলার সময় স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে আমার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে তা প্রত্যাহারের জন্য দোরে দোরে ঘুরেছি। দেশের বহু নামকরা ক্রিকেটারের কাছে গিয়েছে ব্যাপারটা মিটমাট করতে। বিদেশেও অনেকের সাহায্য চেয়েছি। কিন্তু পাইনি।'
পাকিস্তানি টিভি চ্যানেলে পিটিভি স্পোর্টসে 'গেম অন হ্যায়' অনুষ্ঠানে শোয়েব আখতার বলেন,''আঞ্চলিক ব্যাপার নিয়ে আমার কেরিয়ারে দু-তিনজনের (ক্রিকেট দল) সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে। যেমন- করাচি, পঞ্জাব বা পেশোয়ার। দানেশ কানেরিয়া এক টেবিলে খেতে বসলে ভ্রু কোঁচকাতেন অধিনায়ক। ধর্মের কারণে খাবার তুলতে দেওয়া হন না কানেরিয়াকে।''
হিন্দু হওয়ায় কানেরিয়াকে এক টেবিলে খেতে দিতেন না পাক ক্রিকেটাররা, বিস্ফোরক শোয়েব
কানেরিয়ার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ করেছিলেন শোয়েব। তাঁর কথায়,''আমি বলেছিলেন, অধিনায়ক তুমি ঘরে। তোর দেশকে জিতিয়েছে ও। দানেশ না থাকলে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিততাম না। বড় বড় ব্যাটসম্যানকে ও আউট করেছে। আমি তো টেলএন্ডারদের ৪ উইকেট নিয়েছিলাম। কেন কৃতিত্ব দিচ্ছেন না?''
বলে রাখি, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ-সহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ তুলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এনেছে মোদী সরকার। তবে বৈষম্যের অভিযোগ মানতে নারাজ ২ দেশই। এমনকী ভারতের বেশ কয়েকটি বিরোধী দল একে অজুহাত বলে দাবি করে কেন্দ্রকে আক্রমণ শানিয়েছে। তবে কানেরিয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে এটা স্পষ্ট হয়েছে, অভিযোগে অন্তত সারবত্তা রয়েছে। জাতীয় ক্রিকেট দলের এক সদস্য এমন বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হলে সাধারণ সংখ্যালঘুদের কী অবস্থা তা সহজেই অনুমেয়।