নিজস্ব প্রতিনিধি- নেপোটিজম। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার ঘটনার পর এই শব্দটা এখন আর কারও অজানা নয়। নেপোটিজম। অর্থাত, স্বজনপোষণের অভিযোগে বিদ্ধ বলিউড। তারকার পরিবারের কেউ হলেই অ্যাডভান্টেজ। স্টার-এর ছেলে স্টার হবে। এটাই অভিনয় জগতের রীতি। সেখানে বাইরের কেউ এলে, তিনি যতই প্রতিভাবান হন না কেন, একটা সুযোগ পেতে তাঁকে কাঠ-খড় পোড়াতে হবে। ইনডাস্ট্রির বাইরে কারও জন্য কেরিয়ার গড়ার রাস্তায় থাকবে কাঁটা বিছানো। বলিউড সম্পর্কে অনেকেরই মত এখন এমনই। অনেকেরই অভিযোগ, বলিউড আসলে নেপোটিজম-এর আখড়া। শুধু বলিউড কেন, যে কোনো গ্ল্যামার ইনডাস্ট্রি সম্পর্কেই সাধারণ মানুষের ধারণা এমনই হয়েছে। কিন্তু এদেশে ক্রিকেটও তো কোনও গ্ল্যামার ইনডাস্ট্রির থেকে কম নয়। তা হলে সেখানেও কি নেপোটিজম আছে!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতের হয়ে মাত্র দশটি টেস্ট ম্যাচ খেলা প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া নিজের ইউ টিউভ চ্যানেলে নেপোটিজম নিয়ে কথা বলছিলেন। প্রসঙ্গক্রমে উঠে আসে ক্রিকেটে স্বজনপোষণের টপিক। আকাশ চোপড়া নিশ্চিত, ভারতীয় ক্রিকেটে নেপোটিজম নেই। তিনি এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি তেন্ডুলকর, গাওয়াস্কারদের উদাহরণও টানলেন। আকাশ চোপড়া বলেছেন, সুনীল গাওয়াস্কার নিজের ছেলেকে মুম্বই থেকে খেলতে দেননি। সচিন তেন্ডুলকর প্রভাব খাটালে অর্জুন এতদিনে অন্তত একটা আইপিএল দলের হয়ে তো খেলত! ক্রিকেটে নেপোটিজম থাকলে তেন্ডুলকর, গাওয়াস্কারদের ছেলেরা ভারতীয় দলে থাকত।


আরও পড়ুন- গব্বরের বাড়িতে এল নতুন অতিথি, টুইট করে সুখবর দিলেন শিখর ধাওয়ান


২০০৪ সালে ভারতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল রোহন গাওয়াস্কারের। দেশের জার্সিতে তিনি খেলেছেন মাত্র ১১টি ওয়ানডে। অন্যদিকে, সচিন তেন্ডুলকরের ছেলে অর্জুন বাবার মতো ব্যাটসম্যান নন। ছফুট উচ্চতার অর্জুন পেসার। তিনি সচিন-পুত্র হয়েও নিজের প্রতিভ ও পরিশ্রমের উপর ভর করে মুম্বইয়ের রনজি দলে জায়গা পাকা করার জন্য লড়ছেন। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর যে কোনও সেক্টর-এ থাকা লোকজনই নেপোটিজম-এর প্রসঙ্গ তুলেছেন। তবে অনেকেই বলছেন, নেপোটিজম থাকবেই। তার মধ্যেও যাঁদের এগিয়ে যাওয়ার তাঁরা ঠিক পারবেন।