জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত ১৯ নভেম্বর বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-অস্ট্রেলিয়া (India Vs Australia)। তীরে এসেই ডুবেছিল তরী! বিশ্বকাপ ফাইনালে (ICC CWC 2023 Final) উঠেও ট্রফি ছুঁয়ে দেখতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া (Team India)। ছয় উইকেটে জিতে ষষ্ঠবারের জন্য় বিশ্বকাপ জেতে অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালের ঠিক চারদিনের মধ্য়েই মাঠে নেমে পড়েছিল টিম ইন্ডিয়া। শুরু হয়ে যায় ভারত-অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্য়াচের টি-২০ সিরিজ (Australia tour of India, 2023)। শুক্রবার এক ম্য়াচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) অ্যান্ড কোং। হেরে গেল ম্যাথিউ ওয়েডের (Matthew Wade) অস্ট্রেলিয়া। দুধের স্বাদ মিটল ঘোলে! কারণ বদলা কোনও ভাবেই বলা যায় না। দুই মঞ্চ সম্পূর্ণ আলাদা। বিশ্বকাপ ফাইনালের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের কোনও তুলনাই হতে পারে না। 



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Sourav Ganguly: 'রো-কো' জুটির ভবিষ্যৎ কোন পথে? কলকাতায় মহারাজের মেগা আপডেট, সব রহস্যের সমাধান


এদিন রায়পুরের শহীদ বীর নারায়ণ সিং স্টেডিয়ামেটস হেরে প্রথমে ব্য়াট করে ভারত। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান তোলে সূর্যবাহিনী। দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় যে মেজাজে শুরু করেছিলেন, তাতে করে মনে হচ্ছিল ভারত হেসে খেলে ২০০+ রান তুলে ফেলবে। তবে অ্যারন হার্ডির শর্ট বলে তুলে খেলতে গিয়ে যশস্বী ক্য়াচ তুলে দেন বেন ম্য়াকডারমটের হাতে। ভারত প্রথম উইকেট হারায় ৫০ রানে। ঠিক প্রথম পাওয়ার-প্লে-র শেষে। যশস্বী ২৮ বলে ৩৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ফেরেন। তিনে নামেন শ্রেয়স আইয়ার। যিনি বিশ্বকাপ খেলার পর প্রথম তিন ম্য়াচে ব্রেকে ছিলেন। তবে কেকেআর ক্য়াপ্টেন হতাশ করলেন। সাত বলে আট রান করে ফিরে গেলেন। তনবীর সংঘার বলে চালিয়ে খেলেছিলেন। লং-অফে ক্রিস গ্রিনের হাতে ক্য়াচ তুলে দেন। চারে নেমে সূর্যকুমার যাদব ডাঁহা ব্য়র্থ হলেন। ২ বলে ১ রান করে কিপারের হাতেই ক্যাচ তুলে দিলেন। রুতুরাজ ক্রিজ কামড়ে ছিলেন ঠিকই, তবে তাঁকেও অস্ট্রেলিয়া ফিরিয়ে দেয় ডাগআউটে। ২৮ বলে ৩২ করে আউট হন তিনি। রুতুরাজ যখন ফেরেন, তখন ভারতের স্কোরবোর্ডে ১১১/৪। চলছিল ১৪ ওভারের খেলা।


এরপর পাঁচে ও ছয়ে নামা রিঙ্কু সিং, জীতেশ শর্মার যুগলবন্দিতে ভারত ভদ্রস্থ স্কোর করতে সমর্থ হয়। ৩২ বলে ৫৬ রান যোগ করেন তাঁরা। রিঙ্কু ২৯ বলে ৪৬ রান করেন। জীতেশের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে মারকাটারি ৩৫ রানের ইনিংস। এর আগে মাত্র তিনটি টি২০আই খেলা জীতেশ বুঝিয়ে দিলেন যে, তাঁর মধ্য়ে কী সম্ভাবনা রয়েছে। রিঙ্কু তো আগেই তাঁর শক্তির পরিচয় দিয়েছেন। নতুন করে আর তাঁর বার্তা দেওয়ার নেই এই ফরম্য়াটে। তবে শেষের দিকে অক্ষর প্য়াটেল, দীপক চাহার, রবি বিষ্ণোই ও আবেশ খানরা ব্য়াট করলেন ঠিকই। তবে তাঁদের রান বলার মতো নয়।  


টি২০ ফরম্য়াটে ২০০ রান করেও এখন নিশ্চিন্তে থাকা যায় না। মুড়ি-মুড়কির মতো দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪০০-র বেশি রান হয়ে যায়। সেখানে ভারতের রান কমই ছিল অনেকটা। এই অস্ট্রেলিয়া  রান তাড়া করে জিতে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু ভারতীয় বোলারদরে সৌজন্যে সেটা আর হয়নি রায়পুরে। ট্র্যাভিস হেড ও জোশ ফিলিপ এদিন ওপেন করতে নেমেছিলেন। তারা রীতিমতো মারমুখী মেজাজেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে বিষ্ণোই এসে তাঁদের যুগলবন্দি ভেঙে দেন। ফিলিপকে ক্লিন বোল্ড করে দেন তিনি। প্রথম উইকেট চলে যাওয়ার পরেই অস্ট্রেলিয়া কিন্তু সেভাবে কোনও পার্টনারশিপ গড়তে পারেনি। আক্রমণাত্মক হেডকে (১৬ বলে ৩১) ফিরিয়ে অক্ষর ভারতকে স্বস্তি দেন। পাঁচ ওভারে অজিদের দুই উইকেট চলে যায় ৪৪ রানে।


এরপর ম্য়াকডারমট, হার্ডি বা টিম ডেভিড কেউ ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি। ম্য়াকডারমট-হার্ডিও শিকার হন অক্ষরের। চাহার সেট হয়ে যাওয়া ডেভিড ও ম্য়াথিউ শর্টকে (১৯ বলে ২২) তুলে নিয়ে ভারতের জয়ের রাস্তা প্রশস্ত করে দেন। যদিও ওয়েডের থেকে যাওয়াটা ভারতকে ভাবিয়েছিল। শেষ ওভারে জয়ের জন্য় অজিদের দরকার ছিল ৩১ রান। কিন্তু আবেশ খানের ওভারে মাত্র ১১ রানই আসে। ২০ রানে ভারত জিতে যায়। ওয়েড ২৩ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন। এদিন ম্য়াচের সেরা হয়েছেন অক্ষর। নির্দিষ্ট কোটার বল করে তিন উইকেট নিয়েছেন তিনি। দিয়েছেন ১৬ রান। আবেশ পেয়েছেন এক উইকেট। আগামী রবিবার ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ টি২০ খেলবে বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। যদিও সেই ম্য়াচ নেহাতই নিয়মরক্ষার। 


আরও পড়ুন: R Ashwin: 'ধোনি শ্রেষ্ঠ, কিন্তু...' অশ্বিনের চোখে এগিয়ে রোহিত! বোঝালেন পয়েন্ট ধরে ধরে



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)