নিজস্ব প্রতিবেদন: কাজে এল না স্টিভ স্মিথের সেঞ্চুরি। মহম্মদ শামির দুরন্ত বোলিংয়ের পর রোহিত শর্মা -বিরাট কোহলির জোড়া শতরানে বেঙ্গালুরুতে সিরিজ জিতে নিলে টিম ইন্ডিয়া। মুম্বইয়ে ১০ উইকেটে হারের পর রাজকোটে জিতে ঘুরে দাঁড়ায় কোহলি ব্রিগেড। সিরিজ ১-১, সুপার সানডেতে সিরিজের ফয়সালার ম্যাচ ৭ উইকেটে জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া। সেই সঙ্গে গত মার্চে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঘরের মাটিতে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ হারের মধুর প্রতিশোধ নিল কোহলির দল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


২৮৭ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে এদিন রোহিতের সঙ্গে ওপেনিং-এ নামেন কেএল রাহুল। শিখর ধাওয়ান চোট পাওয়ায় এদিন আর মাঠে নামেননি। রাহুল মাত্র ১৯ রানে ফিরে যান। তবে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির ১৩৭ রানের পার্টনারশিপ ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। ১১৯ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা। একদিনের ক্রিকেটে এটি ২৯ তম শতরান হিটম্যানের। একদিনের ক্রিকেটে এদিন ৯০০০ রান পূর্ণ করলেন তিনি। একদিনের ক্রিকেটে এদিন অধিনায়ক হিসেবে দ্রুততম ৫০০০ রান করলেন বিরাট কোহলি। ৮৯ রান করে আউট হন বিরাট কোহলি। ৩৫ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন শ্রেয়স আইয়ার। ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।  ২-১ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিল কোহলির দল।



বেঙ্গালুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চ। এই সিরিজে পর পর তিন ম্যাচেই টস হারেন বিরাট কোহলি। এদিন শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ৩ রানে ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে অজি শিবিরে প্রথম ধাক্কাটা দেন মহম্মদ শামি। এরপর স্মিথের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফিরে যান অ্যারোন ফিঞ্চ।  এরপর চতুর্থ উইকেটে ল্যাবুশানেকে সঙ্গে নিয়ে ১২৭ রানের পার্টনারশিপ  গড়ে তোলেন স্মিথ। যা অস্ট্রেলিয়াকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দেয়। ল্যাবুশানে ৫৪ রানে ফিরে যান। ৩৫ রান করেন অ্যালেক্স ক্যারি। ১৩১ রানে স্মিথ ফিরে যেতেই অস্ট্রেলিয়াকে ৩০০ রানের গণ্ডির মধ্যে বেঁধে রাখলেন ভারতীয় বোলাররা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের হয়ে মহম্মদ শামি ৪ উইকেট, রবীন্দ্র জাদেজা ২টি উইকেট নেন।


আরও পড়ুন - বেঙ্গালুরুতে ধোনিকে টপকে রেকর্ড গড়লেন ক্যাপ্টেন কোহলি