নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিটা লড়াইয়েই হার-জিত্ থাকে। জীবনেও তাই। একজন জিতলে অন্যজনকে পরাজিত হতেই হয়। কিংবা একজন পরাজিত হলেই অন্য অন্যজন জয়ী হয়। এটাই নিয়ম। এই নিয়ম বলবত্ রয়েছে ক্রিকেটীয় যুদ্ধেও। সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজটার কথাই ধরে নিন। ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া, বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি। বিরাট জিতলেন। হারলেন পেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ধোনিকে টপকে ৪৬ বছর পর ফারুক ইঞ্জিয়ারকে ছুঁলেন ঋষভ পন্থ


সিরিজ শুরুর আগে অনেকে বিরাটের ভারতকে এগিয়ে রেখেছিলেন ঠিকই, তবে কেউ হলফ করে বলতে পারেননি ভারতই সিরিজ জিতবে। তবে ভারতই জিতল। সেটাও ২-১-এ। ভারত তো বটেই, এশিয়া মহাদেশেও এমন কোনও দল নেই যারা সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে সিরিজ জিতে ফিরেছে। অতীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড অজিদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জিতে দেশে ফিরেছে। তবে ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে এটাই প্রথমবার, যেখানে অস্ট্রেলিয়া থেকে টেস্ট সিরিজ জিতে দেশে ফিরবে ভারতীয় দল।


আরও পড়ুন- অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডে একদিনের সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হল বুমরাহকে


ভারতীয় শিবির এই সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল এক বছর আগে থেকেই। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে শুরু হয়েছিল প্রস্তুতিপর্ব। মাঝে কঠিন পরীক্ষা ছিল ইংল্যান্ড। দুই ক্ষেত্রেই ভারত হেরেছিল। সিরিজ হাতছাড়া হয়েছিল দুই সফরেই। তবে এবার সেটা হল না। ফাইনাল পরীক্ষায় বাজিমাত বিরাটদের। দলগত সাফল্যেই সিরিজ পকেটে পুরে নিল তাঁরা। নিন্দুকরা বলছেন, ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভ স্মিথ না থাকার ফায়দা তুলল বিরাটরা। যদিও এ কথা মানছেন না খোদ অজি অধিনায়কই।


আরও পড়ুন- 'তিরাশির বিশ্বকাপের থেকেও বড় জয়’, শাস্ত্রীর মন্তব্যে ‘হা হা’ করে হাসলেন সৌরভ


ভারত যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে বলে মত তাঁর। টিম পেনের কথায়, “আমরা হতাশ। জানি, দলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের আমরা পাইনি। তবে সত্যি বলছি, আমরা বিশ্বাস করেছিলাম এই ভারতীয় দলকে হারাতে পারব।” পেনের মতে, ভারত জিতেছে কারণ, দলের প্রয়োজনে ভারতীয় ক্রিকেটাররা নিজেদের অবদান রাখতে পেরেছে। চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, যশপ্রীত বুমরাহরা যে পারফরম্যান্স করেছে, তাতে ভারতের জয়ের পথ সুগম হয়েছে, মত অজি অধিনায়কের।


অন্যদিকে এই সিরিজে ডাহা ফ্লপ করেছে অজি ব্যাটিং। কামিন্স আর নাথান লিয়ঁর পারফরম্যান্স বাদ দিলে আর কোনও অজি ক্রিকেটারই সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি। আর সেকারণেই বিশ্বের এক নম্বর দলের কাছে ধরাশায়ী হতে হয়েছে ডনের দেশকে। যদিও টিম পেন আশাবাদী, তাঁর দল ঘুরে দাঁড়াবেই।