নিজস্ব প্রতিবেদন: শুরুতেই  ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারের কোমর ভেঙে দিয়েছিলেন ভারতীয় বোলাররা। একটা সময়ে মনে হচ্ছিল, একশোর মধ্যেই বোধহয় গুটিয়ে যাবে জো রুটদের প্রথম ইনিংস। কিন্তু তা হল না। মইন আলি ও ক্যারনের ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়াল ইংল্যান্ড। ২৪৬ রানে অলআউট ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ। 
 
২৪৬ স্কোরটা এই পিচে মন্দ নয়, অন্তত যেভাবে ভারতীয়দের বল ঘুরপাক খাচ্ছিল। এখন অ্যান্ডারসন, ব্রডদের সামলানোর দায়িত্ব ব্যাটসম্যানদের। ইংল্যান্ডের রান পেরিয়ে লিড বাড়াতে হবে টিম ইন্ডিয়াকে। গতবার দুই ইনিংসের ব্যাটিং অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে নিশ্চিতভাবে ভরসা দেবে। কিন্তু মাঝে খেই হারিয়ে না ফেললে ইংল্যান্ডকে দুশোর নীচে রাখতে পারলে অনেকখানিই অ্যাডভান্টেজ পেত ভারত। শুরুর আক্রমণের ঝাঁঝ ধরে রাখতে পারলেন ভারতীয়রা। বলা ভাল, ভারতীদের আক্রমণের মুখে প্রতিরোধ গড়ে তুললেন ক্যারন।        


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাউদাম্পটনের ব্যাটিং কন্ডিশন দেখেই হয়তো টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্ত দলের জন্য বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। মূলত তাঁদের ব্যাটিং লাইন আপের কাছে ত্রাস হয়ে ওঠেন জসপ্রিত বুমরা। তৃতীয় টেস্টের শেষ ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন বুমরা। দারুন ফর্ম এই ম্যাচেও অব্যহত রাখলেন তিনি। ম্যাচে তিনটি উইকেট তুললেন। তাঁর জোড়া আঘাতে মধ্যাহ্নভোজের আগেই ২৮ রানে তিন উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ব্যক্তিগত শূন্য ও দলীয় ১ রানেই বুমরার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান কিটন জেনিংস। ৬ রান করে ফেরেন জনি বেয়ারস্টো।


এরপর ইশান্ত শর্মার বলে এলবিডব্লিউ অধিনায়ক জো রুট। ইংলিশ অধিনায়ক করেন মাত্র ৬ রান। ওপেনার অ্যালিস্টার কুক ব্যাট হাতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ব্যক্তিগত ১৭ রানেই কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। এরপর পঞ্চম উইকেটের জুটিতে আশা জাগাচ্ছিলেন বেন স্টোকস ও জস বাটলার। দলের ৬৯ রানের মাথায় বাটলার (২১) আউট হন শামির বলে। তবে ক্যারন ও মইন আলি রুখে দাঁড়ান। মইন করেন ৪০ রান। ব্যক্তিগত ৭৮ রানে আউট হন ক্যারন। শেষ উইকেটটি তোলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।  


আরও পড়ুন- সোনা জিতে স্বপ্নার আবদার, এক জোড়া জুতো পেলে ভাল হয়