নিজস্ব প্রতিবেদন: বিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখলেন, মেনু-তে বাটার নান, থেকে বিরিয়ানি সবই আছে। এরপর পাত পেরে খেতেও বসে পড়লেন। অথচ খাবার চেখে দেওয়ার সময় দেখলেন সবটাই গণ্ডগোল! কোনওটা সিদ্ধ হয়নি, কোনওটায় নুন কম আর কোনওটা মুখে দেওয়ার যোগ্যই না। শেষমেশ কী আর করবেন, আইসক্রিম খেয়েই বাড়ি ফিরবেন। অন্তত এটা তো বলা যাবে, কিছু একটা খেয়ে এলাম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ডিআরএস-এ অক্ষম বিরাট!


এবার ভারতের অবস্থাটা ভাবুন। বিশ্বের এক নম্বর দল। ৩-১-সিরিজ হেরে চার নম্বর টেস্টে এগিয়ে থেকেও হারতে বসেছে। বোলাররা উইকেট  পায় তো ব্যাটসম্যানরা রান পায় না। ব্যাটসম্যান রান পেলে বোলাররা প্রয়োজনের সময় উইকেট নিতে ব্যর্থ। ভারত ক্রিকেট খেলল ঠিকই, কিন্তু জেতার মতো খেলতে পারল না।


আরও পড়ুন- ৩৩ বোতল বিয়ার! কুককে বিদায়ী উপহার সাংবাদিকের


এই সিরিজে বিরাট সফল। ২০১৪ সালের অতীত ভুলে এবার পুরো স্কোরকার্ডটাই পাল্টে দিলেন ভারত অধিনায়ক। ওভালের শেষ ইনিংসে গোল্ডোন ডাক, অর্থাত্ প্রথম বলেই আউট হওয়া ছাড়া গোটা সিরিজেই রান আছে বিরাটের। পতৌদি সিরিজে ভারত অধিনায়কের ঝুলিতে ৫৯৩ রান। রয়েছে দুটি শতরান। এছাড়া বলতে গেলে চেতেশ্বর পূজারার একটা শতরান। এছাড়া ওভালের চতুর্থ দিন পর্যন্ত আর কিছুই বলার ছিল না। শিখর ধাওয়ান ব্যর্থ। মুরলি বিজয় ব্যর্থ। রাহানে একটা ইনিংস ছাড়া পুরোটাই ব্যর্থ। হার্দিক ডাহা ফেল। দীনেশ কার্তিক আর ঋষভ পন্থ, দুজনে মিলেও এই সিরিজে ১০০ রান করতে পারেনি। এসবের মধ্যে সিরিজের শেষ দিনে শতরান করে কুক, রুটদের সঙ্গে ওভালে স্মরণীয় হয়ে থাকলেন লোকেশ রাহুলও। দেশে ফিরে আসার আগে ভারতীয় ব্যাটিং নিয়ে এটাই যা বলার।



প্রসঙ্গত, ওভালে টেস্ট জীবনের পঞ্চম শতরান পেলেন লোকেশ রাহুল। জিমি অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রডদের সামনে যখন তাসের দেশের মত ভেঙে পড়ল ভারতীয় ব্যাটিং, তখন একাই হাল ধরলেন এই দক্ষিণী ব্যাটসম্যান। লাঞ্চে যাওয়া পর্যন্ত ভারতের স্কোর ১৬৭ রানে ৫ উইকেট। রাহুল সেখানে অপরাজিত ১০৮।