নিজস্ব প্রতিবেদন: বোলিং নড়বড়ে। মরণ-বাঁচন ম্যাচ জেতার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন ব্যাটসম্যানরাই। শতরান করলেন দুই উদ্বোধনকারী ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল। ওপেনিং জুটিই ম্যাচটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছ থেকে বের করে নিয়ে গেল। নির্ধারিত ৫০ ওভারে উঠল ৫ উইকেটে ৩৮৭ রান। পর্বতসম টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২৮০ রানে গুটিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১০৭ রানে জিতল বিরাটবাহিনী। ৩ ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১। শেষ ম্যাচ হয়ে দাঁড়াল ফাইনাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ম্যাচে রান তাড়া করে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ম্যাচেও টসে জিতে সেই কৌশলই নিলেন অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড। কিন্তু এদিন পোলার্ডের পাকা ধানে মই দিলেন কেএল রাহুল ও রোহিত শর্মা। শতরান করলেন দুই ওপেনার। আরও একটা ডবল সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন  হিটম্যান। সেই সুযোগও ছিল। কিন্তু  ১৫৯ রানেই থামলেন 'শর্মাজি কা বেটা'। দুই ওপেনার জুটিতে তুললেন ২২৭ রান। তখনই ম্যাচের রাশটা অনেকখানি চলে এসেছে ভারতের হাতে। ওপেনারদের বড় রানের দিন ব্যর্থ হলেন বিরাট কোহলি। পোলার্ডের স্লো বাউন্সারে গয়ংগচ্ছ খেলে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরলেন। বিরাট কোহলির কাছ থেকে এই ধরনের আলগা শট বেশ অপ্রত্যাশিতই।


স্লগওভারে দ্রুত গতিতে রানের পাহাড়ে দলকে চড়ালেন ঋষভ পন্থ ও শ্রেয়স আইয়ার। গত ম্যাচে রান পাওয়ার পর দুজনকেই আত্মবিশ্বাসী লেগেছে। চার নম্বর ব্যাটসম্যানের সমস্যার সমাধান করে দিলেন শ্রেয়স। মাত্র ৩২ বলে করলেন ৫৩ রান। তবে বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করলেন ঋষভ পন্থ। মাত্র ১৬ বলে ৪টি ছক্কায় ঝড়ের গতিতে তুললেন ৩৯। ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ভারতের স্কোর ৩৮৭। 



টার্গেট ৩৮৮। টি-২০ ক্রিকেটের জমানায় অসম্ভব বলে কিছুই নেই। চারশো রান তাড়া করে জেতার ইতিহাসও রয়েছে। তার উপরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে রয়েছেন বিগ হিটাররা। দুই ওপেনার এলভিন লিউস ও সাই হোপ বেশ ভালোই শুরু করেছিলেন।  ৮৬ রানে ৩ উইকেট পড়লেও  নিকোলাস পুরান ও সাই হোপ ওয়েস্ট ইন্ডিজের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। পুরান তো বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করছিলেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন সাই হোপ। তাঁদের জুটি ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে আশা শেষ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের। এরপর দ্বিতীয়বার হ্যাটট্রিক করে পোলার্ডদের লেজ গুটিয়ে দেন কুলদীপ যাদব। ৪৩.৩ ওভারে ২৮০ রানে শেষ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উইকেট হাতে থাকলে ম্যাচের ফলটা অন্যরকম হতেও পারত। ১০৭ রানে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল টিম ইন্ডিয়া। একইসঙ্গে জিইয়ে থাকল সিরিজ। আপাতত ১-১। শেষ ম্যাচে ফয়সলা।     


আরও পড়ুন- 'বাংলায় অনুপ্রবেশ ভয়ঙ্কর সমস্যা', ২০০৫ সালে সংসদের ভিডিয়ো ভুয়ো, দাবি মমতার