নিজস্ব প্রতিবেদন: খরগোশের দৌড় নয়, মাহি এগোলেন কচ্ছপের পায়ে। বোঝালেন, যার শেষ ভাল তার সব ভাল। বিশ্বকাপের আগে তাঁর একটা ছায়াযুদ্ধ ছিল। সে লড়াই জিতলেন। জেতালেন দলকে। মাঝ পথে হাল ধরে উপপাদ্য ছকে নিতেন তিনি। তার পর সমঝে বুঝে চলত দিক নির্ণয়। হিসেব এতটাই পাকা হত যে জয়ের অঙ্ক শেষ পর্যন্ত মিলেই যেত। মাঝে এই অঙ্কটাই মিলতে চাইছিল না। এতদিন পর অঙ্ক যেদিন মিলল সেদিন মেলবোর্নে সিরিজের শেষ ওয়ানডে জিতল ভারত। একই সঙ্গে জিতে নিল সিরিজও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ডেড বল-এর ফাঁদ! ফিঞ্চকে বোকা বানিয়ে আউট করলেন ভুবনেশ্বর কুমার


এদিন টসে জিতে প্রথম বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি অজি দলের। শুরুতেই ফিরতে হয়েছে দুই ওপেনারকে। অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ফিরেছেন ১৪ রানে। মিডল অর্ডারে শন মার্শ (৩৯) ও পিটার হ্যান্ডসকম্বের (৫৮) যুগলবন্দিতে কিছুটা এগিয়ে যায় ব্যাগি গ্রিনরা। তবে তাঁরা বেশি দূর স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। মার্শ, হ্যান্ডসকম্ব যুজবেন্দ্র চাহলের স্পিনে উইকেট দিয়ে ফিরতেই তাসের দেশের মতো ভেঙে পড়ে অজি ব্যাটিং। শেষ পর্যন্ত সব উইকেট খুইয়ে ২৩০ রানই করতে পারেন তারা। ৬টি উইকেট নিয়ে মেলবোর্নে কীর্তি স্থাপন করেন যুজবেন্দ্র।



জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত একেবারে মন্থর গতিতে হাঁটতে শুরু করে। রোহিত, ধাওয়ানের স্লো ব্যাটিংয়ে আসকিং রেট বাড়তে থাকে। তবে দুই ওপেনার ফিরে যেতেই ম্যাচের স্টেয়ারিং নিজেদের হাতে নিয়ে নেন বিরাট ও ধোনি।  ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। ভারত অধিনায়ক আউট হতেই ব্যাট করতে আসেন কেদার যাদব। শেষ পর্যন্ত তিনিও ধোনির সঙ্গে সঙ্গ দিয়ে যান এবং অপরাজিত অর্ধশতরানের ইনিংস  (৬১) খেলেন। ধোনির ব্যাট থেকে আসে ৮৭ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস। যার সুবাদে পরপর দুই ম্যাচ জিতে টেস্টে সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজও কব্জা করে নিল বিরাট ব্রিগেড।