নিজস্ব প্রতিনিধি— প্রভীন তেওটিয়া। নামটির সঙ্গে কোনও এক সময় পরিচয় থাকলেও আজ বড়ই ফিকে। হয়তো মনেও নেই অনেকের। কে এই প্রভীন তেওটিয়া ? সেটা আপনাদের অবশ্যই জানাব। তার আগে জানিয়ে রাখি তিনি কী করছেন। প্রভীন একজন লং ডিসটেন্স রানার । মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড সহ দেশ বিদেশ মিলিয়ে ম্যারাথনে প্রচুর পদক জিতেছেন। সেই পদক থেকে বাছাই করা এগারোটি পদক বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক বিক্রি করে দুই লক্ষ টাকা করোনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ত্রান তহবিলে দান করেছেন। বাকি পদক বিক্রি হয়ে গেল সেই অর্থও দান করবেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ম্যারাথন দৌড়ের পদকগুলো প্রভীনের কাছে ছিল স্বপ্ন জয়ের থেকেও বেশি। দেশ যখন আজ কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন অবলীলায় নিজের স্বপ্ন জয়কে বিক্রি করে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ালেন। এটাও সম্ভব? হ্যাঁ সম্ভব। কেন সম্ভব তা জানতে হলে প্রভীন কে সেটা জানতে হবে। আর প্রভীনকে জানতে ফিরে যেতে হবে আজ থেকে বারো বছর আগে। প্রভীন একজন নৌসেনা ছিলেন। মনে আছে এক যুগ আগে ছাব্বিশে নভেম্বরের কথা। বিশ্বের ইতিহাসে যা 26/11 বলে পরিচিত। ২০০৮ সালে মুম্বইতে জঙ্গি হানা। উগ্রপন্থীদের কব্জা করার জন্য  নৌসেনার একটি দল পাল্টা আঘাত করছিল উগ্রপন্থীদের দিকে। কিন্তু উগ্রপন্থীদের চারটি গুলি প্রভীনের ফুসফুসে গিয়ে আঘাত করেছিল। নেভির এই কম্যান্ডার শরীরে চারবার অস্ত্রোপচার হয়। তারপর সুস্থ হয়ে ওঠেন প্রভীন তেওটিয়া। তবে একটি কান তার অকেজো হয়ে যায়। ডান কানের শোনার ক্ষমতা চিরকালের মত হারিয়ে ফেলেন প্রভীন।  


নৌসেনার চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নেওয়া শুরু করেন। দেশ বিদেশ মিলিয়ে বহু ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করছেন। জিতেছেন বহু পদক। তার থেকেই সেরা এগারোটি পদক বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে। প্রভীন জানিয়েছেন, "আমি সৈনিক। দেশের জন্য কাজ করাই আমার ধর্ম। কর্মজীবনের সেই ব্রত থেকে আজও সরে আসিনি। দেশের জন্য কিছু করতে পারলে ভীষণ তৃপ্তি পাই। তাই এই সময়ে সামান্য কিছু করার চেষ্টা করছি।" প্রভীন দেশের প্রতিটি মানুষকে সরকারের নির্দেশ মেনে চলতে অনুরোধ করেছেন।