পার্থ প্রতিম চন্দ্র : দেশের পেস বোলার হিসেবে নয়া নজির গড়লেন মহম্মদ সামি। মাত্র ১৩ ম্যাচে ৫০ উইকেট নিয়ে দেশের পেসার হিসেবে সবচেয়ে দ্রুত এই মাইলস্টোনে পোঁছলেন সামি। ছুঁলেন বেঙ্কটেশ প্রসাদের। আসুন এই রেকর্ড গড়ার দিনেই সামির জীবন নিয়ে নিয়ে পাঁচটা জানা অজানা তথ্য জানুন--


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) বছর দশের আগে সামি যখন উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতায় এসেছিলেন তখন, ম্যাচপিছু পেতেন মোটে ৭৫০ টাকা! তখন সামি ডালহৌসি ক্লাবে। পরের বছর টাউন-কর্তা দেবব্রত দাস নিজের ক্লাবে নিয়ে আসেন। ময়দানে যিনি সামির ‘গুরু’ বলে পরিচিত। টাউনে প্রথম দিকে সামি পেতেন দিনে ৭৫ টাকা!



২) বাঙালি না হলেও বাঙালির প্রিয় লুচি-তরকারি পেলে ছাড়তে পারেন না। খুব পছন্দ করেন পছন্দ কষা মাংস, আরসালানের বিরিয়ানি খেতে।



৩) নাইটক্লাবে যেতে একদম পছন্দ করেন না। ইদানিং সামির নামে একটা অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকলেও নিজে সোশ্যাল মিডিয়া একদম ব্যবহার করেন না।



৪) বাঙলা সিনেমা সেভাবে কোনও দিন দেখেননি। উত্তম কুমার, সৌমিত্র মত নায়কদের নামও শোনেননি। তবে খুব ভালবাসেন অমিতাভ বচ্চনকে।


 



৫) পছন্দের ক্রিকেটার ডেল স্টেইন। সুযোগ পেলেই স্টেইনের পুরনো খেলার সিডি নিয়ে বসে পড়েন। বিরাট কোহলি খুব পছন্দের ব্যাটসম্যান। নেটে সবসময় চেষ্টা করেন বিরাটকে আউট করার।



 


৬) খেলতে নামার আগে নিয়ম করে বাড়িতে ফোন করেন। বলেন, বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে মনের জোর পাই। ভাবি আজ খারাপ খেললেও ওরা আমার সঙ্গে থাকবে।


আরও পড়ুন-এক নজরে সামির সব রেকর্ড


৭) ঘুরতে খুব ভালবাসেন সামি। হঠাত্‍ হঠাত্‍ অনেক দূরে ঘুরতে বেড়িয়ে যান।


৮) সিএবি-তে নাম রেজিস্ট্রেশনের সময় লিখেছিলেন সামি আহমেদ নামে। কারণ সামির সঙ্গেই তাঁর বন্ধ নাভেদ আহমেদ সই করেন। মনে হয় সামির নামের পাশেই নাভেদের নামটা থাকায় ভুল করে সামি আহমেদ হয়ে যায়। এই নাভেদ আহমেদ সামির খুব ভাল বন্ধু।


৯)  ময়দানে সামি আহমেদ থাকলেও নাইট রাইডার্স দলে যোগ দেওয়ার পরে প্লেয়ার্স লিস্টে লিখতে শুরু করেন মহম্মদ সামি।


১০) বোর্ডের স্কোরবোর্ডে সামি আহমেদ লেখার পর তিনি চিঠি দিয়ে জানান তাঁর নাম মহমদ সামি, সামি আহমেদ নয়।