নিজস্ব প্রতিবেদন:  ৬৯ বলে ১৩২ রান।  ১৪ টি বাউন্ডারি, ৭ টি ওভার বাউন্ডারি। একবার ক্যাচ দিলেন ৮৩ রানে। আর একবার  ৮৯ রানে। এর বাইরে কেএল রাহুলের ঝকঝকে ইনিংসে কোনও দাগ নেই। রাহুলের দুটি ক্যাচই বৃহস্পতিবার ফেলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কোহলির মতো ফিট, ভাল ফিল্ডারের কাছ থেকে এমনটা হয়তো কেউই আশা করেন নি। কিন্তু রোজ তো আর কারোর সমান যায় না। কথায় আছে ক্যাচেস উইন ম্যাচেস। ৯৭ রানে ম্যাচ হেরে নিজের ক্যাচ মিসকেই দায়ি করলেন আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বৃহস্পতিবার সকালেই ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টে-র ভার্চুয়াল ভিডিয়ো কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ দেশবাসীকে ফিট থাকার মন্ত্র শোনান বিরাট কোহলি। আর সেই দিনেই কিনা দু দুটো সহজ ক্যাচ মিস করলেন বিরাট কোহলি। প্রথমে ১৭ তম ওভারে ডেল স্টেইনের বলে বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করতে থাকা কেএল রাহুলের ক্যাচমিড উইকেটে মিস করেন বিরাট কোহলি। পরের ওভারেই আবার রিপিট টেলিকাস্ট। এবার নভদীপ সাইনির বলে সহজ ক্যাচ মিস করলেন সেই কোহলি। তখন ৮৯ রানে ব্যাটিং করছিলেন রাহুল।



তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রাহুলকে। ৬২ বলে ২০২০ সালের আইপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বল খেলে ১৩২ রানে অপরাজিত থেকে পাঞ্জাবকে ২০৬ রানে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন ক্যাপ্টেন কেএল রাহুল। পাহাড় প্রমাণ তাড়া করতে নেমে কোহলি ফিরলেন মাত্র ১ রানে। কটরেলের আচমকা লাফিয়ে ওঠা বলটা পুল করতে গিয়ে রবি বিষ্ণোইয়ের হাতে ধরা দিলেন বিরাট। এক রানেই গল্প শেষ ক্যাপ্টেন কোহলির। আরসিবি শেষ ১০৯ রানে।



৯৭ রানে ম্যাচ হেরে বিরাট স্বীকার করে নিলেন, " ওই দুটো সুযোগ(ক্যাচ) হাতছাড়া করতেই ওদের ৩০-৪০ রান বেশি হয়ে গিয়েছে। মাঝের ওভারগুলোতে আমরা বেশ ভালই বল করেছিলাম। আমরা ১৮০ রানের মধ্যে ওদের বেঁধে রাখতে পারলে প্রথম বল থেকে চাপ হতো না। এক একটা দিন যায় যেদিন এমনটা হয়। আর তাই সেটাকে গ্রহণ করতে হয়। রান তাড়া করতে নেমে চাপে পড়ে গিয়েছিলাম আমরা। সব মিলিয়ে একটা খারাপ দিন, ঘুরে দাঁড়াতেই হবে।"


তবে দিনের শেষে ট্রোল হলেন আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ক্যাচ মিস-২, রান-১  লিখে কোহলির সমালোচনায় নেটিজেনরা।


 


আরও পড়ুন - ডিন জোনসকে বাঁচানোর জন্য হোটেলেই শেষ চেষ্টা করেছিলেন ব্রেট লি