নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতা নাইট রাইডার্স ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (KKR Vs MI) মুখোমুখি হয়েছে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে। মঙ্গলবার চিপকের টস জিতে অইন মর্গ্যান (Eoin Morgan) অ্যান্ড কোং রান তাড়ার করার সিদ্ধান্ত নেন। রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) মুম্বই টস হেরে প্রথমে ব্যাট করল। কলকাতার দুরন্ত বোলিংয়ে মুম্বই তুলল ১৫২।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চেনা ওপেনিং জুটি রোহিত ও কুইন্টন ডি কক (Quinton de Kock) শুরুতেই ধাক্কা খায় এদিন। বরুণ চক্রবর্তীর বলে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মাত্র ২ রান করে ফিরে যান রাহুল ত্রিপাঠীর হাতে ক্যাচ তুলে। ১০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় মুম্বই। এরপর তিনে নামেন মুম্বইয়ের ভরসামান ব্যাটসম্যান সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। 


সদ্য জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া সূর্যকুমার কিন্তু হতাশ করলেন না। ঝকঝকে হাফ-সেঞ্চুরি (৩৬ বলে ৫৬) এল তাঁর ব্যাটে। রোহিতের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের জন্য ৭৬ রান যোগ করলেন তিনি। সূর্যকুমারের ইনিংসে থাকল ৭টি চার ও ২টি ছয়। শাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hasan) বলে শুভমান গিলের (Shubman Gill) হাতে ক্যাচ আউট হন তিনি। 


সূর্য ফিরতেই তরুণ ক্রিকেটার ঈশান কিশান (Ishan Kishan) আসেন। তাঁর থেকে প্রত্যাশা থাকলেও, তিনি হতাশ করলেন এদিন। মাত্র এক রানেই তাঁর ইনিংস থামিয়ে দেন প্যাট কামিন্স (Pat Cummins)। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার হাতে ক্যাচ তুলে দেন ঈশান। এরপর রোহিত শর্মাও ফিরে যান সাত রানের জন্য হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে রেখে। হিটম্যানের ৩২ বলে ৪৩ রানের ইনিংস থামে কামিন্সের বলেই। অজি পেসার রোহিতের উইকেট ছিটকে দেন।


ঈশান আউট হওয়ার পরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে মুম্বই। রোহিতের পর ব্যাক-টু-ব্যাক ফিরে যান দুই গেমচেঞ্জার হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya) ও কায়রন পোলার্ড (Kieron Pollard)। হার্দিক করলেন ১৫ রান, পোলার্ডের ব্যাট থেকে এল মাত্র ৫ রান। ক্রুনাল পাণ্ডিয়া (Krunal Pandya) চেষ্টা করেছিলেন কিছু করার। তবে দাদার মতো তিনিও করেন ১৫। মুম্বই শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে স্কোরবোর্ডে উঠল ১৫২।