কলকাতা নাইট রাইডার্স ১৩৩/৯
রাজস্থান রয়্যালস ১৩৪/৪
রাজস্থান জয়ী ৬ উইকেটে (হাতে ৭ বল রেখে)


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিজস্ব প্রতিবেদন: টানা চার ম্যাচ হারল কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)! এবার লাস্ট বয় রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) কাছেও অসহায় আত্মসমর্পণ করে নিল কেকেআর৷ এই দলটার যাবতীয় বারুদই হয়তো জলে ভিজে গিয়েছে৷ জ্বলে ওঠার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে৷ কেকেআরের এখন প্লে-অফে কোয়ালিফাই করা নিয়েও থেকে যাচ্ছে বড় প্রশ্ন৷ শনিবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে কেকেআর নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল মাত্র ১৩৩ ৷ কেকেআরের অতি বড় সমর্থকও হয়তো দলের জয়ের আশা করেনি এদিন৷ টি-২০ ক্রিকেটে এই পুঁজি নিয়ে লড়াই করাটা কার্যত অসম্ভব৷ কলাকাতারও সেটাই হলো৷ 


কোনও অঘটন না-ঘটলে এই রান ডিফেন্ড করে কলকাতার পক্ষে যেতাটা ছিল রীতিমতো দুঃসহ ব্যাপার৷ কারণ এই ফর্ম্যাটে ১৫০-র নিচে রানটা কোনও রান হিসাবেই ধরা হয় না৷ বলতে গেলে রাজস্থানের জেতার রাস্তাটা কিন্তু কেকেআর তৈরি করে দিয়েছিল৷এদিন ফের একবার কলকাতার কঙ্কালসার ব্যাটিং লাইন-আপের চিত্রটা ফুটে উঠল৷ টপ থেকে মিডল অর্ডার হয়ে টেল এন্ডার! ব্যাটিং পজিশনের কোথাও যেন কোনও ভারসাম্য নেই৷ ক্রিজে টিকে থেকে খেলা চালিয়ে যাওয়ার প্রবণতাই যেন উধাও দলটার৷ টিমের সর্বোচ্চ স্কোরার রাহুল ত্রিপাঠী৷ তিনি ব্যাট করতে নেমে ৩৬টি রান যোগ করলেন৷ ক্যাপ্টেন অইন মর্গ্যান ধারাবাহিক ভাবে ব্যর্থ৷ একটি রানও করতে পারলেন না তিনি৷ ফিফথ ডাউনে নামা দীনেশ কার্তিক এসে ২৫ রান না করতে পারলে আদৌ কেকেআর ১০০-র গণ্ডী পার করত কিনা সন্দেহ রয়ে যেত! অনেক কষ্টে কলকাতা ১৩৩ রান তুলতে পারল৷ রাজস্থানের হয়ে ক্রিস মরিস বল হাতে জ্বলে উঠলেন৷ তিনি পেলেন চার উইকেট৷ 


১৩৩ তাড়া করতে নেমে রাজস্থানেরও চারজন ব্যাটসম্যানকে ফিরতে হল ডাগআউটে৷ কিন্তু সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে তাদের ধুঁকতে হয়নি৷ তিনে ব্যাট করতে নামা রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ও ছয়ে নামা ডেভিড মিলার জুটি বেঁধে বুদ্ধি করেই সামলে নেন ইনিংস৷ তাঁদের ব্যাটে ভর করেই রাজস্থান মরসুমের দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করে নেয়৷ সঞ্জু অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে৷ বাঁ-হাতি প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে করেন ২৪৷ এক ওভার এক বল বাকি রেখেই জেতে রাজস্থান৷