নিজস্ব প্রতিবেদন: 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আইপিএল নিলামের (IPL Auction) দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। তবে পুরনো আটটি ফ্রাঞ্চাইজি যে চার জন ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে সেই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করে দিল বিসিসিআই (BCCI)। গত ২৮ অক্টোবর জি ২৪ ঘণ্টায় এই খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সেই খবরে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। 


পুরনো আটটি ফ্রাঞ্চাইজিকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দিতে হবে। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার (Sanjiv Goenka) আরপিএসজি (RPSG) গ্রুপ এবং  বিদেশি কোম্পানি সিভিসি ক্যাপিটালকে (CVC Capital) ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দলে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।  


শোনা যাচ্ছে শনিবার ১০টি ফ্রাঞ্চাইজিকে বিসিসিআই-এর তরফ থেকে মেল করা হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে, 'পুরনো আটটি ফ্রাঞ্চাইজি সর্বাধিক চারজন ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে পারবে। তারপর নিলামের আগে দুটি দল সর্বাধিক তিন জন করে ক্রিকেটারকে নেওয়ার সুযোগ পাবে।'   


চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে যে গত মরশুমের দুইজন ক্রিকেটারকে রাখলে ২৪ কোটি এবং ১ জনকে রেখে দিলে ১৪ কোটি টাকা খরচ করতে পারবে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। আগামী মরসুমের ক্রিকেটার ধরে রাখার ক্ষেত্রে তিনজন ভারতীয় ও ১ জন বিদেশি অথবা ২ জন ভারতীয় এবং ২ জন বিদেশি ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো।


আরও পড়ুন: WT20: Mohammed Shami-র ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ক্ষুব্ধ Virat Kohli


অ্যানকাপড ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে অর্থাৎ যারা ভারতের হয়ে এখনও খেলেননি, তাদের দুজনকে ধরে রাখতে পারবে পুরনো ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। এবং একজন ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে নতুন দলগুলো। গোটা নভেম্বর মাসে ৮টা পুরনো ফ্রাঞ্চাইজির কাছে সুযোগ থাকছে ক্রিকেটারদের ধরে রাখার। এরপর ডিসেম্বর মাসের ১-২৫ তারিখ পর্যন্ত তিনজন করে ক্রিকেটারকে বাছার সুযোগ পাবে নতুন দলগুলো। শোনা যাচ্ছে জানুয়ারিতে বসতে পারে নিলামের আসর। চারজন ক্রিকেটার ধরে রাখার ক্ষেত্রেও আলাদা আলাদা চারটি স্ল্যাব করা হয়েছে। 


শোনা যাচ্ছিল আসন্ন ক্রোড়পতি লিগের নিলামের আগে পুরনো আটটি দল সবচেয়ে বেশি চারজন ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে। এক্ষেত্রে দলগুলিকে দুটি বিকল্প দেওয়া হতে পারে। প্রথম: পুরনো দল থেকে দুজন ভারতীয় ও দুজন বিদেশি ধরে রাখতে পারবে। দ্বিতীয়ত: তিন জন ভারতীয় ও একজন বিদেশিও ধরে রাখতে পারে। অন্যদিকে আরপিএসজি গ্রুপ ও  বিদেশি কোম্পানি সিভিসি ক্যাপিটাল নিলামের আগেই বাকি ক্রিকেটারদের তালিকা থেকে তিন জন করে নিতে পারবে। সেই জল্পনাই সত্যি হল।


এ দিকে শোনা যাচ্ছে দলগুলির বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ গত বারের তুলনায় ৫ কোটি টাকা করে বাড়ছে। তবে এ বার সম্ভবত ২০১৮ সালের মতো রাইট-টু-ম্যাচ কার্ড থাকবে না। ২০২২ সাল থেকে আহমেদাবাদ ও লখনউ- নতুন দুই দল অংশ নেবে আইপিএল-এ। অর্থাৎ ১০ দলে আইপিএল হবে। দুটি বাড়তি দল যোগ দেওয়ায় আগামী বছর ৭৪টি ম্যাচ আয়োজিত হবে। ম্যাচ সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি খেলার নিয়মেও বেশ কিছু বদল দেখা যাবে। প্রত্যেকটা দল সাতটি করে হোম ম্যাচ ও সাতটি করে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। বোর্ডের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। এর আগে আট দলের আইপিএল-এ ৬০টি করে ম্যাচ খেলা হত। 


একনজরে দেখে নিন স্ল্যাবগুলির দিকে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। 


১) স্ল্যাব ১:-


প্রথম ক্রিকেটার ১৬, দ্বিতীয় ১২, তৃতীয় ৮ ও চতুর্থ ৬ কোটি।


২) স্ল্যাব ২:-


প্রথম ক্রিকেটার ১৫, দ্বিতীয় ১১ এবং তৃতীয় ৭ কোটি।


৩) স্ল্যাব ৩:-


প্রথম ক্রিকেটার ১৪, দ্বিতীয় ক্রিকেটার ১০ কোটি।


৪) স্ল্যাব ৪:-


প্রথম ক্রিকেটার ১৪ কোটি। অ্যানকাপড ক্রিকেটারকে রেখে দিলে দিতে হবে ৪ কোটি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)