IPL Auction: শাকিব, হরভজনকে নিলেও কেকেআরের দলগঠন নিয়ে রয়ে গেল কিছু প্রশ্ন
গত আইপিএলে বোঝা গেছে সুনীল নারাইনকে দিয়ে ওপেন করিয়ে লাভ হচ্ছে না। তিনি অতীতে বেশ কিছু ইনিংসে ওপেন করে সফল হলেও এখন বোলাররা তাঁর শর্ট বলের বিরুদ্ধে দুর্বলতা ধরে ফেলেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন - বৃহস্পতিবার আইপিএলের নিলামে মোট সাতজন ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে কেকেআর। এই সাতজনের মধ্যে অন্যতম দুই নাম বাংলাদেশের অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসান ও প্রাক্তন ভারতীয় তারকা অফস্পিনার হরভজন সিং। মাত্র ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় শাকিবকে ও ২ কোটি টাকার বেস প্রাইসে হরভজনকে দলে নেয় কেকেআর। এছাড়াও করুণ নায়ার, শেল্ডন জ্যাকসন, পবন নেগি, ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও বৈভব আরোরাকে দলে নিয়েছে কেকেআর।
দল নিয়ে যে তারা খুশী তা জানিয়েছেন কেকেআরের সিইও ভেঙ্কি মাইসোর। আগের বারের দলের ইয়ন মর্গ্যান, প্যাট কামিন্স, শুভমান গিলসহ বেশীরভাগের ক্রিকেটারকেই ধরে রেখেছে কেকেআর। টম ব্যান্টন, ক্রিস গ্রীন, সিদ্ধেশ লাড, নিখিল নায়েক, এম সিদ্ধার্থদের ছেড়ে দিয়েছে শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে যে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে তা হল শুভমন গিলের সঙ্গে ওপেনিং পার্টনার কে হবেন?
গত আইপিএলে বোঝা গেছে সুনীল নারাইনকে দিয়ে ওপেন করিয়ে লাভ হচ্ছে না। তিনি অতীতে বেশ কিছু ইনিংসে ওপেন করে সফল হলেও এখন বোলাররা তাঁর শর্ট বলের বিরুদ্ধে দুর্বলতা ধরে ফেলেছে। এখন তিনি আর শুরুতে নেমে সফল হতে পারছেন না। গিলের সঙ্গে এমন একজন ওপেনার দরকার ছিল যিনি শুরুতে নির্ভরতা দিতে পারবেন এবং একইসঙ্গে রান রেট বাড়ানোর দিকেও নজর দিতে পারবেন। অ্যালেক্স হেলস, জেসন রয়, অ্যারন ফিঞ্চের মত তারকারা ছিলেন নিলামে। কেকেআর তাদের জন্য বিডই করেনি। ইংল্যান্ডের তরুণ ওপেনার ডেউইড মালানও ছিলেন যিনি এই মুহুর্তে টি-২০তে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। মাত্র ১.৫ কোটি টাকায় তাকে দলে নেয় পাঞ্জাব কিংস। তাকেও দলে নেওয়ার চেষ্টা করেনি কেকেআর।
ওপেনিংয়ে কি ফের তাহলে সুনীল নারাইন বা নীতিশ রাণা? মানে ওপেনিং স্লট নিয়ে পরীক্ষা চলতেই থাকবে বলেই ধরে নেওয়া যায়। বোলিং বিভাগ নিয়েও প্রশ্ন থাকছে অনেক। স্পিন বিভাগে ইতিমধ্যেই দলে আছেন বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারাইন ও কুলদীপ যাদব। এরমধ্যে বরুণ গতবারে আইপিএলের অন্যতম সেরা স্পিনার ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে হরভজন সিংকে ২ কোটি টাকা দিয়ে দলে নেওয়ার যুক্তি ঠিক পরিষ্কার নয়। শুধু যদি অভিজ্ঞতাকেই প্রাধান্য দেওয়ার জন্য তাকে দলে নেন কর্তারা সেক্ষেত্রে আলাদা ব্যাপার। তবে এই বছরেও কুলদীপ যাদবকে বেঞ্চে বসেই কাটাতে হবে বলেই ধারণা ক্রিকেটমহলের।
পেস বোলিংয়েও প্যাট কামিন্সের সঙ্গে দরকার ছিল একজন অভিজ্ঞ ভারতীয় বোলার। শিবম মাভি ও কমলেশ নাগারকোটি কিছু ম্যাচে নজর কাড়লেও বেশীরভাগ ম্যাচেই তাদেরকে দিয়ে পুরো ৪ ওভার করানো যায়নি। উমেশ যাদবের জন্য কেকেআর বিড করবে বলে ধরেই নিয়েছিলেন বহু সমর্থক কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। সন্দীপ ওয়্যারিয়র বা প্রসিদ্ধ কৃষ্ণও কিন্তু গত মরসুমে রীতিমতো ব্যর্থ।