গুজরাত টাইটান্স ২২৭/২


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লখনউ সুপার জায়েন্টস ১৭১/৭


গুজরাত জয়ী ৫৬ রানে


জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট থেকে হেসেখেলে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট হয়ে গেল! গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্স (Gujarat Titans) চলতি আইপিএলে (IPL 2023) সবচেয়ে ধারাবাহিক দল। দুরন্ত পারফরম্যান্সে লিগ টেবলের মগডালে উঠে বসেছেন হার্দিক পাণ্ডিয়ারা (Hardik Pandya)। রবিবাসরীয় ডাবল হেডারের প্রথম ম্যাচে গুজরাত ও লখনউ সুপার জায়েন্টস (Lucknow Super Giants, GT vs LSG) মুখোমুখি হয়েছিল। ফার্স্ট বয় গুজরাত ঠিক ফার্স্ট বয়ের মতোই খেলল। ঘরের মাঠ নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ফের দাপুটে জয়ে দুই পয়েন্ট তুলে নিল গুজরাত। গুজরাত টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ২২৭/২। জবাবে লখনউ ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ তুলল শেষ পর্যন্ত।


ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমন গিলের ওপেনিং জুটি এদিন আরও একবার ধামাকা দেখিয়েছে ঘরের মাঠে। ১২.১ ওভারে তাঁরা তুলে ফেলেছিলেন ১৪২ রান। ঋদ্ধি ৪৩ বলে ৮১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে সমালোচকদের মুখে ঝামা ঘষে দিলেন। ৫৯ মিনিট ক্রিজে থেকে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ব্যাট করলেন ১৮৮.৩৭-এর স্ট্রাইক রেটে। ২০ বলেই চলে আসে ঋদ্ধির দ্বাদশতম হাফ-সেঞ্চুরি। ঋদ্ধিকে এভাবে ব্যাট করতে দেখে ফ্য়ানরা একটাই দাবি করলেন, তাঁরা চাইছেন আসন্ন আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ঋদ্ধিকে দেখতে। এদিন ঋদ্ধি ফিরে যাওয়ার পর শুভমান কামাল দেখাতে থাকেন। ৫১ বলে ৯৪ (২টি চার ও ৭টি ছয়) রানে তিনি অপরাজিত থাকেন। তিনে নেমে হার্দিক পাণ্ডিয়া ১৫ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে ডাগআউটে ফিরে যান। চারে ব্যাট করতে আসা ডেভিড মিলার ১২ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। 


আরও পড়ুনWriddhiman Saha | WTC Final: ধেয়ে এল ভংয়কর ঋদ্ধি ঝড়! বাংলার ছেলেকে চাই বিশ্বযুদ্ধে, আরও জোরাল হল দাবি



গুজরাতের রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল লখনউ। কাইল মেয়ার্স ও কুইন্টন ডি কক যেভাবে ব্যাট করতে শুরু করেছিলেন, তা দেখে গুজরাতের বুকে কাঁপুনিই ধরে গিয়েছিল। ৮.২ ওভারে মেয়ার্স- ডি কক জুটিতে চলে আসে ৮৮ রান। ৩২ বলে ৪৮ রান করে ফিরে যান বার্বাডোজের বিধ্বংসী ব্যাটার মেয়ার্স। গুজরাত প্রথম উইকেটের দেখা পায় মোহিত শর্মার সৌজন্যেই। এরপর কুইন্টন ডি কক লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন একাই। ১৬ ওভার পর্যন্ত তিনি ক্রিজে ছিলেন। ৪১ বলে তিনি করেছিলেন ঝোড়ো ৭০ রান। সাতটি চার ও তিনটি ছয় হাঁকান ডি কক। তবে মেয়ার্স আউট হওয়ার পর, ডি ককের হাত শক্ত করার মতো একজনও আসেননি ক্রিজে। দীপক হুডা, মার্কাস স্টোইনিস ও নিকোলাস পুরানের মতো ব্যাটাররা ২০ রানের মধ্যেই ফিরে যান। ছয়ে নামা আয়ূশ বাদোনি করেছিলেন ২১ রান। তবে ২২৭ রান তাড়া করে জেতার মতো রসদ এই দলের ছিল না। বল হাতে মোহিত শর্মার পারফরম্যান্স ছিল তারিফ করার মতো। চার ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন চার উইকেট। 



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)