Nitish Rana, IPL 2023: `বোলার` নীতীশ রানার জন্যই লজ্জার হার, মেনে নিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার
রাজস্থানের কাছে ৯ উইকেটে হারের সঙ্গেই কেকেআরের কার্যত আইপিএলে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল। এই ম্যাচের আগে দুই দলেরই ছিল ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট করে। কলকাতা ছিল ছয়ে, রাজস্থান ছিল পাঁচে। কারণ রাজস্থানের নেটরানরেট ছিল প্লাসে। কলকাতার মাইনাসে। দুরন্ত জয়ের পর রাজস্থান ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুই ধাপ লাফিয়ে চলে এল তিনে। একে গুজরাত টাইটান্স ও দুয়ে চেন্নাই সুপার কিংস। অন্যদিকে নাইটরা এখন ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় সাতে। এক ধাপ নেমে গেলেন নীতীশরা!
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আচ্ছা নীতীশ রানা (Nitish Rana) ও রোমের সম্রাট নিরোর মধ্যে মিল কোথায়! ইতিহাসে লেখা আছে রোম যখন পুড়ছিল, তখন সম্রাট নিরো বেহালা বাজাচ্ছিলেন! কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata knight Riders) অধিনায়ক নীতীশ রানার (Nitish Rana) ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা ঠিক তাই। তাঁর জন্যই যে রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) জয় আরও সহজ হয়েছে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যশস্বী জয়সওয়ালের (Yashasvi Jaiswal) ৪৭ বলে ৯৮ রানের অপরাজিত ইনিংসের দাপটে শুধু লজ্জার হার, একইসঙ্গে চলতি আইপিএল-এর (IPL 2023) প্লে অফ নাইটদের কার্যত অনিশ্চিত হয়ে গেল।
হাতে মাত্র ১৪৯ রানের পুঁজি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এটা কোনও রানই নয়। তবুও লড়াকু মানসিকতা বজায় রাখতে পারলে মানরক্ষা করা যেত। কিন্তু খোদ নাইট অধিনায়ক সেটা হতে দিলেন কোথায়! প্রথম ওভারে বোলিং করতে এসেই দিয়ে বসলেন ২৬ রান! আর সেখানেই ম্যাচ জেতার বাকি আশাও গঙ্গার জলে ভেসে গেল।
নাইট অধিনায়কের জন্যই যে দল প্লে অফে যাওয়ার আগেই ছিটকে যেতে বসেছে সেটা মেনে নিলেন ৪২ বলে ৫৭ রান করা ভেঙ্কটেশ। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "আমাদের দলে অনেক বোলার আছে যারা পাওয়ার প্লে-তে বোলিং করতে পারে। নীতীশও দারুণ বোলিং করে। তাই হয়তো প্রথম ওভারে বোলিং করতে গিয়েছিল। কিন্তু রাজস্থানের বিরুদ্ধে ও নিজেকে মেলে ধরতে পারল না। এটা হারের অন্যতম কারণ বলে ধরতেই পারেন।"
আরও পড়ুন: KKR VS RR | IPL 2023: চাহাল-যশস্বীর রেকর্ডের রাতে নাইটদের অসহায় আত্মসমর্পণ ইডেনে
আরও পড়ুন: Yuzvendra Chahal | KKR VS RR : ইডেনে ইতিহাস লিখলেন চাহাল! সবার উপরে এখন তিনিই
সতীর্থ ভেঙ্কটেশ দলের অধিনায়কের দিকে আঙুল তুললেও, নীতিশ কিন্তু উদ্ধত মনোভাব দেখিয়ে গেলেন। আর তাই ম্যাচের শেষে তাঁকে জঘন্য বোলিং নিয়ে প্রশ্ন করা হলেন মেজাজ হারিয়ে সটান বলে দেন, "কে আমার বোলিং নিয়ে কী বলছে, সেটা নিয়ে আমার মাথা ঘামানোর দরকার নেই। প্রথম ওভারে পার্ট টাইম বোলার নিজেকে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে চেয়েছিলাম। ছন্দে থাকা যশস্বীকে আউট করাই ছিল লক্ষ্য। তাই নিজেই বল করতে যাই। কিন্তু সেই পরিকল্পনা কাজে আসেনি।"
নীতীশের কথা শুনে বেশ বোঝা যাচ্ছিল যে , তিনি সেই প্রশ্ন হজম করতে পারেননি। কিন্তু কী আর করা যাবে! গৌতম গম্ভীর জমানার পর নাইটদের প্রতিবছরের কাহিনীটা ঠিক এমনই। কেকেআর প্রতিবার আইপিএল খেলবে। প্রথমদিকে একটা-দুটো জিতে তুমুল লাফালাফি চলবে। এরপর দেদার হারবে। হারতে হারতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর আচমকা ঘুরে দাঁড়াবে। তারপর আবার থেঁতলানি খেয়ে তলিয়ে যাবে ব্যর্থতার সমুদ্র-অতলে। মাঝে মাত্র একবার এহেন ধ্বংসস্তূপ থেকে দু’দ্দাড়িয়ে ফিরে এসেছিল কেকেআর। ইয়ন মর্গ্যানের ক্যাপ্টেন্সিতে। বাকি বছরের কাহিনি অবিকল এক। তবুও বছর ঘুরলে সেই একই পুরনো নাটক মঞ্চস্থ হবে।