LSG vs GT | IPL 2023: শেষ ওভারের রুদ্ধশ্বাস থ্রিলার! মোহিত ম্যাজিকে গুজরাতের চমৎকার
LSG vs GT, IPL 2023: Mohit Sharma guide Gujarat Titans to victory by 7 runs: অত্যন্ত কম রান করেও প্রতিপক্ষকে হারানো যায় টি-২০ ফরম্যাটে। এটাই দেখিয়ে দিল হার্দিক পাণ্ডিয়ার গুজরাত। শনিবার লখনউয়ের ঘরের মাঠে গিয়ে তাদের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিল গুজরাত।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ক্রিকেট-বিনোদনের সেরা ককটেল টি-২০ ফরম্যাট। ফের একবার প্রমাণিত। শনিবার আইপিএলের (IPL 2023) ডাবল হেডারের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল লখনউ সুপার জায়েন্টস-গুজরাত টাইটান্স (Lucknow Super Giants vs Gujarat Titans, LSG vs GT )। রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভারেই হল খেলার ফয়সলা। অত্যন্ত লো-স্কোরিং ম্যাচ একেবারে জমে ক্ষীর হয়ে গেল। অপ্রত্যাশিত জয় ছিনিয়ে নিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন হার্দিক পাণ্ডিয়ার (Hardik Pandya)। দুরন্ত ব্যাটেও শেষরক্ষা করতে পারলেন না লখনউ অধিপতি কেএল রাহুল (KL Rahul)।
লখনউয়ের একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গুজরাত টস জিতে ঘরের টিমকে বল করতে পাঠিয়েছিল। প্রথমে ব্যাট করে গুজরাত মাত্র ১৩৫ রান তুলতে সমর্থ হয়। টি-২০ ফরম্যাটে এই রান কোনও রানই নয়। গুজরাতের হয়ে ব্যাট হাতে ছাপ রাখলেন বাংলার ব্রাত্য ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা (৩৭ বলে ৪৭)। ধারাবাহিক ভাবেই ঋদ্ধি ভালো খেলে যাচ্ছেন। ঋদ্ধি ছাড়া রান পেলেন ক্যাপ্টেন হার্দিক। তিনে ব্যাট করতে নেমে ৫০ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেললেন বরোদার অলরাউন্ডার। বাকি চার ব্যাটারের ব্যাট থেকে এসেছে এক অংকের রান। ঋদ্ধি-হার্দিক ছাড়া দুই অংকের রানের দেখা পেয়েছেন বিজয় শংকর (১২ বলে ১০)। ক্রুনাল পাণ্ডিয়া ও মার্কাস স্টোইনিস পেলেন দু'টি করে উইকেট। এক উইকেট নবীন-উল-হক ও অমিত মিশ্রের।
আরও পড়ুন: WATCH | Virat Kohli: তাঁরা শুধু বাঁধেননি ঘর! এই ব্রাজিলিয়ানের আগুনেই পুড়েছেন বিরাট! কে এই লাস্যময়ী?
গুজরাতের অতি বড় সমর্থকও ভাবেননি যে, এই রান ডিফেন্ড করে তাঁর টিম ম্যাচ বার করে নেবে। কিন্তু বাস্তবে সেটাই করে দেখাল হার্দিক অ্যান্ড কোং। ১৩৬ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে খাবি খেল লখনউ। ওপেনার ও ক্যাপ্টেন রাহুল টিকে থাকলেন শুধু। তিনি ছাড়া প্রথম তিনের বাকি দুই ব্যাটার কাইল মেয়ার্স (১৯ বলে ২৪) ও ক্রুনাল পাণ্ডিয়া (২৩ বলে ২৩) রানের দেখা পেয়েছিলেন। এছাড়া দলের একজন ব্যাটারও রানের দেখা পাননি। সকলেই নিজেদের বেঁধে রেখেছিলেন এক অংকের রানের মধ্য়ে। শেষ ওভারে লখনউয়ের জয়ের জন্য টার্গেট ছিল ১২। হার্দিক বল তুলে দিয়েছিলেন মোহিতকে। তাঁর প্রথম বলেই রাহুল দু'রান নেন। তবে দ্বিতীয় বলেই রাহুল চালিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে যান। ৬১ বলে তাঁর ৬৮ রানের ইনিংস শেষ হয়। রাহুলের আউটের সঙ্গেই সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দলের রক্তচাপ বাড়তে থাকে। রাহুলকে ফেরানোর পরের বলেই মোহিত তুলে নেন মার্কাস স্টোইনিসকে। এখানেই শেষ হয়ে যায় লখনউয়ের ইনিংস। মোহিতের চতুর্থ ও পঞ্চম ডেলিভারিতেও আসে উইকেট। আয়ূশ বাদোনি ও দীপক হুডা রান আউট হয়ে যান। নুর আহমেদ, মোহিত তুলে নিলেন দু'টি করে উইকেট। এক উইকেট এল রশিদের। মোহিত হয়ে গেলেন ম্যাচের নায়ক।