Preity Zinta: `ছেলেদের প্রচণ্ড খিদে`, মুখ খুললেন মালকিন, ১২০-র পর আর পারেননি প্রীতি!
Preity Zinta Reveals She Once Made 120 Aloo Paranthas For Punjab Kings Players: ছেলেরা ঠিক কত খেতে পারে, সে ব্যাপারে ধারণা ছিল না প্রীতি জিন্টার। দক্ষিণ আফ্রিকায় আইপিএল চলাকালীনই প্রীতি বুঝে যান তা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নাম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ (The Indian Premier League) হলেও, ক্রোড়পতি লিগ কিন্তু একাধিকবার বিবিধ কারণে দেশের বাইরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৮ সালে আইপিএল ভূমিষ্ঠ হয়েছিল। আর আইপিএলের দ্বিতীয় সংস্করণ অর্থাৎআইপিএল-টু অনুষ্ঠিত হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। লোকসভা নির্বাচন ও নিরাপত্তাজনিত কারণের কথা ভেবে আইপিএল পাড়ি জমিয়েছিল সিংহের দেশে। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত আইপিএলের এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা শুনিয়েছেন প্রীতি জিন্টা (Preity Zinta)। পঞ্জাব কিংসের (Punjab Kings) মালকিন কথা বলেছেন খেলোয়াড়দের খিদে নিয়ে। তবে ২০০৯-তে প্রীতির দলের নাম ছিল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব।
আইপিএলের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে প্রীতি বলেন, 'ওই প্রথমবার আমি উপলব্ধি করেছিলাম যে, ছেলেরা কত খেতে পারে! আমরা তখন দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিলাম। ওখানে ওদের মোটেই ভালো পরোটা দেওয়া হয়নি। তারপর আমি খেলোয়াড়দের বলি, আমি তোমাদের পরোটা করা শেখাব। এটা শুনে ছেলেরা বলে, আমাকেই নাকি পরোটা বানাতে হবে। আমি ওদের বলেছিলাম, পরের ম্যাচ জিততে পারলে আমি আলু পরোটা নিজে হাতে বানিয়ে খাওয়াব। পরের ম্যাচ আমরা জিতে যাই। এরপর আমাকে ১২০টি আলু পরোটা বানাতে হয়েছিল। তারপর আমি আর পরোটা বানাইনি।' এই কথা শুনে হরভজন সিং (তিনিও ছিলেন এই অনুষ্ঠানে) বলে ওঠেন যে, 'ইরফান একাই ২০টি আলু পরোটা খেয়ে নেবে।'
আরও পড়ুন: Harbhajan Singh: খুব করে চেয়েও পাননি সুযোগ, এখনও বুকে আক্ষেপের যন্ত্রণা! অবশেষে মুখ খুললেন হরভজন
হরভজন কিন্তু পঞ্জাব পুত্তর হয়েও কখনও প্রীতির টিমে খেলেননি। মুম্বই-চেন্নাই-কলকাতায় খেলে আইপিএল কিংবদন্তির পঞ্জাবে না খেলা নিয়েও রয়েছে বিস্তর আক্ষেপ। কিছুদিন আগেই আইপিএলের সম্প্রচারকারী চ্যানেলের হয়ে ট্যুইটারে এক প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখা হয়েছিল। সেখানে হরভজন বলেছিলেন, 'আমি পঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলার সুযোগ পাইনি। কেরিয়ারের শেষ দু'তিন বছর চেয়েছিলাম পঞ্জাবের হয়ে আইপিএলে প্রতিনিধিত্ব করতে। যা স্কিল আমার মধ্যে ছিল, তা দলের স্বার্থে চেয়েছিলাম ব্যবহার করতে। তবে আমি ১০ বছর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছি। যা সত্যিই স্মরণীয় ছিল। অসাধারণ সব স্মৃতি। ওখানে তিনটি ট্রফি জিতেছি। মুম্বইয়ের সঙ্গে কাটানো সময় কখনও ভুলতে পারব না। অত্যন্ত বড় একটা টিম ছিল। সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে খেলতে পেরেছি। ওই দলের প্রাণশক্তি ছিল অন্য পর্যায়ের।' হরভজন তাঁর জাতীয় দলের সতীর্থ ইরফান পাঠানকে খুব ভালো ভাবে চেনেন। তাই বলতে পারলেন ইরফানের খাওয়ার ক্ষমতা নিয়ে।