Virat Kohli vs Naveen-ul-Haq: দাউদাউ করে জ্বলছে...মাঠের আগুন ছড়াল সোশ্যালে! চলছে বিরাট বনাম নবীন!
Virat Kohli and Naveen-ul-Haq engages in social war: দাউদাউ করে জ্বলছে! মাঠের আগুন ছড়িয়ে পড়ল সোশ্যালে। বিরাট কোহলি ও নবীন-উল-হক সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধ ঘোষণা করে দিলেন। বিসিসিআই-কে জরিমানা দেওয়ার পরেও শান্ত হলেন না তাঁরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যত কাণ্ড লখনউয়ে! আইপিএলের (IPL) ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, মাঠের মধ্যে তুমুল ঝামেলায় জড়িয়ে, খেলোয়াড়দের অগ্নিশর্মা হওয়ার ঘটনা একেবারেই নতুন কিছু নয়। সাম্প্রতিক সংযোজন লখনউ সুপার জায়েন্টস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচ (Lucknow Super Giants vs Royal Challengers Bangalore, LSG vs RCB)। কেএল রাহুলদের (KL Rahul) ঘরের মাঠ একানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম (Bharat Ratna Shri Atal Bihari Vajpayee Ekana Cricket Stadium, Lucknow) ম্যাচের পর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে একানা। একাধিকবার কথাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা। উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন আরসিবি (RCB) মহারথী বিরাট কোহলি (Virat Kohli), এলএসজি-র আফগান পেসার নবীন-উল-হক (Naveen-ul-Haq) ও এলএসজি-র মেন্টর গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। আচরণবিধি ভঙ্গের অপরাধে কোহলি-গম্ভীরের ১০০ শতাংশ ও নবীনের ৫০ শতাংশ ম্যাচ-ফি কেটে নিয়েছে বিসিসিআই (BCCI)! কিন্তু মাঠের আগুন এবার ছড়াল সোশ্যালে। বিরাট বনাম নবীনে উত্তাল সোশ্যাল।
ঠিক কী হয়েছিল একানাতে?ঘটনার সূত্রপাত ম্যাচের পর দু’দলের ক্রিকেটারদের সৌজন্যের করমর্দন দিয়ে। আরসিবি-র ১২৬ রান তাড়া করতে নেমে লখনউ ১০৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। সবাই জানেন যে, কোহলি মাঠের মধ্যে টগবগ করে ফোটেন। লখনউয়ের একটা করে উইকেট পড়ছিল, আর তিনি উল্লাসে মেতে উঠছিলেন। যেরকমটা তিনি করেন। এর পাশাপাশি লখনউয়ের ডাগআউটের দিকে তাকিয়ে মুখে আঙুল দিয়ে চুপ থাকারও ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে ১০ নম্বরে ব্যাট করতে আসা নবীন (১৩ বলে ১৩) ১৮.৪ ওভারে আউট হতেই, কোহলি ফেটে পড়েন উচ্ছ্বাসে। এমনকী কোহলি মাথা থেকে টুপি খুলে ছুড়ে ফেলেন। নবীন কিছুতেই কোহলি এই আচরণ মেনে নিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: Virat Kohli And Gautam Gambhir: রেয়াত করল না বিসিসিআই, মহাভুলেই চরম শাস্তি কোহলি-গম্ভীরের
এই ঘটনার রেশ থেকে যায় ম্যাচ শেষে হাত মেলানোর সময়েও। কোহলিকে কিছু একটা বলে তাতিয়ে দিয়েছিলেন নবীন। কোহলিও দেন পাল্টা। এবার গম্ভীর, কেএল রাহুল এগিয়ে আসেন পরিস্থিতি শান্ত করতে। দু’দলের বাকি ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা ছুটে আসেন। অমিত মিশ্র ও বিজয় দাহিয়াও চলে আসেন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে। কোহলিকে প্রথমে ফাফ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অপ্রতিরোধ্য কোহলি ফের তেড়ে যান। এই ঘটনার পর কোহলি ইনস্টাগ্রামে সুকৌশলে ট্যুইট করেন। তিনি রোমান শাসক মার্কাস অরেলিয়াসকে উদ্ধৃত করে ইনস্টা স্টোরি দেন। সেই বিখ্যাত উক্তিটি হচ্ছে - Everything we hear is an opinion, not a fact. Everything we see is a perspective, not the truth। বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায়, 'আমরা যা শুনি, সবই মতামত, কোনও প্রকৃত ঘটনা নয় । আমরা যা দেখি তা কোনও দৃষ্টিকোণ থেকে। যা সত্য নয়।' নবীনও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। তিনি লেখেন, 'আপনার প্রাপ্য আপনি পাবেন, এটাই হওয়া উচিত। এভাবেই চলে।' এখন দেখার বিরাট-নবীন কখন শান্ত হন।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)