জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০০৮ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ ওরফে আইপিএলের জন্ম (Indian Premier League, IPL)। ১৫টা বছর কাটিয়ে ১৬ বছরে পা দিয়েছে ক্রোড়পতি লিগ। আইপিএলের অন্যতম সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (The Royal Challengers Bangalore, RCB)। বারবার চমকে দেওয়ার মতো পারফরম্যান্স দিয়েছে তারা। ২০০৯, ২০১১ ও ২০১৬ সালে ফাইনালও খেলেছে বেঙ্গালুরুর ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিন্তু আজও অধরা খেতাব। ১৫ বছর খেতাবহীন দল এবার আইপিএল জিতবে বলেই মনে করছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। প্রাক্তন অধিনায়ক ও দলের সুপারস্টার আরসিবি-র সমালোচকদের একহাত নিলেন। যাঁরা বলেন যে, আরসিবি জিততে পারে না, তাঁদের আরসিবি ইনসাইডার (RCB Insider) অনুষ্ঠানে ধুয়ে দিলেন কিং কোহলি। আরসিবি-র ফ্যানরাই শেষ কথা। বুঝিয়ে দিলেন বিরাট। 
 
আরসিবি-র অনুষ্ঠানে বিরাট বলেন, 'আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া পারফরম্যান্স দেখা হোক একবার। সবার থেকে বহু মাইল এগিয়ে। এখানে একটা ট্রফি এনে দাও। তারপর দেখ। একটা সোশ্যাল মিডিয়া ট্রফি এনে দাও। তারপর দেখ আরসিবি জিতবে। সবটাই প্রতিযোগিতা নয়। টুর্নামেন্ট দু'সপ্তাহে পা দিয়েছে। আমরা জিতব। শেষ কয়েক'টি ম্যাচ খেলারই দরকার নেই। ৪-৫ যথেষ্ট। আরসিবি বিরাট একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি। চাপও বিরাট। অনেকের মতে এটা মজার। কেউ বলে এই টিম তো জিততে পারে না। এত বড় একটা টিমের এরকম বিরাট প্রত্যাশা নিয়ে, কেউ খেলে দেখাক না। আমরা যদি ফালতু দলই হতাম, তাহলে এত ফ্যান থাকত না আমাদের।'



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Virat Kohli And Faf du Plessis | RCB vs MI: বিধ্বংসী বিরাট-ফাফের ...


পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে আইপিএল সিক্সটিনের প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন বিরাটরা। গত রবিবার আরসিবি, ঘরের মাঠ এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুম্বইকে উড়িয়ে দিয়েছিল। ফাফ টস জিতে রোহিতদের ব্যাট করতে পাঠিয়ে ছিলেন। মুম্বই নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তোলে। জবাবে ২২ বল হাতে রেখে আট উইকেট আরসিবি ম্যাচ জিতে নেয়। বিরাট-ফাফ আবারও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে টি-২০ ফরম্যাটে ব্যাটিং করা কাকে বলে। তাঁদের ব্যাট শাসনের সামনে রোহিতের দলের বোলারদের নীরব দর্শক হওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তাই খোলা ছিল না। 


১৭১ রান তাড়া করতে নেমে ফাফ-বিরাট জুটি একেবারে বিধ্বংসী মেজাজে শুরু করেন ব্যাটিং। কোথাও তাঁরা যেন শুরুতেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন জেসন বেহেরেনডর্ফ, জফ্রা আর্চার ও ক্যামেরন গ্রিনরা কিস্যু করতে পারবেন না। বেধড়ক মার মারতে শুরু করেন তাঁরা। স্পিনার হোক বা পেসার কাউকে রেয়াত করেননি বর্তমান ও প্রাক্তন অধিনায়ক। ১৪.৫ ওভারে এই জুটি স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলে ১৪৮ রান। ৪৩ বলের ঝোড়ো ৭৭ রানের (৫টি চার ও ৬টি ছয়) ইনিংস খেলে ফাফ ফিরে যান ডাগআউটে। কোহলি ওই রাতে ৪৯ বলে ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ও ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তাঁর এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটের তাণ্ডবলীলায় ছিল ৬টি চার ও ৫টি ছয়। কোহলিরা এখন কলকাতায়। আগামী বৃহস্পতিবার কেকেআরের বিরুদ্ধে তাঁরা ইডেনে খেলবেন দ্বিতীয় ম্যাচ।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)