Virat Kohli And Faf du Plessis | RCB vs MI: বিধ্বংসী বিরাট-ফাফের ব্যাটে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল মুম্বই
Virat Kohli And Faf du Plessis rocks RCB beat MI by 8 wickets: দুরন্ত জয় পেল আরসিবি। অসাধারণ ক্রিকেট খেললেন বিরাট কোহলি ও ফাফ দু প্লেসিস। ফের একবার দুই দেশের দুই ব্যাটিং রত্ন, গায়ে এক রঙের জার্সি চাপিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে, তাঁরা যেদিন খেলে দেবেন, সেদিন আর কারোরই কিছু করার থাকবে না। রবিবারও ছিল তেমনই এক রাত।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians, MI) রবিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (Royal Challengers Bangalore, RCB) বিরুদ্ধে আইপিএল সিক্সটিনের (IPL 2023) অভিযান শুরু করল। এদিন ঘরের মাঠ বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে (M Chinnaswamy Stadium, Bengaluru) মুম্বইকে উড়িয়ে দিল বিরাট কোহলি ও ফাফ দু প্লেসিসের (Virat Kohli And Faf du Plessis) আরসিবি। ফাফ টস জিতে রোহিতদের ব্যাট করতে পাঠিয়ে ছিলেন। মুম্বই নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তোলে। জবাবে ২২ বল হাতে রেখে আট উইকেট আরসিবি ম্যাচ জিতে নেয়। বিরাট-ফাফ আবারও বুঝিয়ে দিলেন যে টি-২০ ফরম্যাটে ব্যাটিং করা কাকে বলে। তাঁদের ব্যাট শাসনের সামনে রোহিতের দলের বোলারদের নীরব দর্শক হওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তাই খোলা ছিল না।
এদিন মুম্বই ব্যাট করতে নেমেই দিশাহীন হয়ে পড়ে আরসিবি-র বোলারদের সামনে। ৪৮ রান তুলতে গিয়ে দলের প্রথম চার উইকেট চলে যায় পলক ফেলার সঙ্গেই। রোহিত ও ঈশান কিশানের চেনা ওপেনিং জুটির নিটফল মাত্র ১১। রোহিত এদিন বিশ্বের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ তম টি-২০ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার নজির গড়েছেন। রেকর্ডের এই রাতে তাঁকে ফিরতে হল মাত্র এক রানে। ঈশানের ব্যাট থেকে এসেছে ১০ রান। তিনে ক্যামেরন গ্রিন (৫) ও চারে সূর্যকুমার যাদব (১৫) চূড়ান্ত ফ্লপ। তবে পাঁচে এসে তিলক বর্মা খেলার মোড়টাই ঘুরিয়ে দিচ্ছিলেন। একটা সময় মনে হচ্ছিল যে, দলটা ১০০ রানের মধ্যে গুটিয়ে যেতে পারে। শেষপর্যন্ত সেই টিমই তিলকের ব্যাটের সৌজন্যে ১৭১ রান তুলতে পেরেছে। তিলক ৪৬ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৯টি চার ও ৪টি ছয় মারেন তিনি।ছে নেমে নেহাল ওয়াধেরা ১৩ বলে ২১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ফিরে যান। যদিও এর পরের কোনও ব্যাটারের রানই বলার মতো নয়।
আরও পড়ুন: SRH vs RR | IPL 2023: নিজামের শহর গুঁড়িয়ে রাজকীয় মেজাজে আইপিএল শুরু রয়্যালসদের
১৭১ রান তাড়া করতে নেমে ফাফ-বিরাট জুটি একেবারে বিধ্বংসী মেজাজে শুরু করেন ব্যাটিং। কোথাও তাঁরা যেন শুরুতেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন জেসন বেহেরেনডর্ফ, জফ্রা আর্চার ও ক্যামেরন গ্রিনরা কিস্যু করতে পারবেন না। বেধড়ক মার মারতে শুরু করেন তাঁরা। স্পিনার হোক বা পেসার কাউকে রেয়াত করেননি বর্তমান ও প্রাক্তন অধিনায়ক। ১৪.৫ ওভারে এই জুটি স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলে ১৪৮ রান। ৪৩ বলের ঝোড়ো ৭৭ রানের (৫টি চার ও ৬টি ছয়) ইনিংস খেলে ফাফ ফিরে যান ডাগআউটে। তাঁর ব্যাটিং দেখে একবারও মনে হয়নি যে, প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময়ে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেননি। চেজমাস্টার কোহলি আবারও বুঝিয়ে দিলেন যে, জঙ্গলের রাজা একটাই। তা তিনি নিজেই। ফাফ আউট হওয়ার পর দীনেশ কার্তিক এসেছিলেন ফিনিশিং লাইন পার করাতে। তবে ডিকে খালি হাতে ফিরে যান। এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (৩ বলে ১২) সঙ্গে নিয়ে বিরাট অসমাপ্ত কাজটি করে ফেলেন। কোহলি এই রাতে ৪৯ বলে ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ও ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তাঁর এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটের তাণ্ডবলীলায় ছিল ৬টি চার ও ৫টি ছয়।