৪০ বছর পর ফুটবল মাঠে মহিলা দর্শক! ইতিহাসের সাক্ষী দুই বাঙালি রেফারি
হাতে পতাকা, গালে প্রিয় দলের জার্সির রঙ মেখে মহিলা ফুটবলপ্রেমীরা হাজির হয়েছিলেন মাঠে।
নিজস্ব প্রতিনিধি : ৮০ হাজার দর্শক। তার মধ্যে এক পাশে বসে রয়েছেন হাজার চারেক মহিলা। এমন দৃশ্য ইরানের ফুটবলে দেখা যায়নি গত চার দশক। কারণ, গত চার দশক ধরে ইরানের কোনও মাঠে মহিলাদের প্রবেশের অধিকার ছিল না। ৪০ বছর পর যেন নতুন করে ইতিহাস লেখা হল। হাতে পতাকা, গালে প্রিয় দলের জার্সির রঙ মেখে মহিলা ফুটবলপ্রেমীরা হাজির হয়েছিলেন মাঠে। লাল, সবুজ আর সাদা পোশাকের জার্সি পরে প্রিয় দলের জন্য গলা ফাটালেন তাঁরা। কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ১৪ গোলে জয় পেয়েছে ইরান। তার জন্য তো আনন্দ ছিলই সমর্থকদের মধ্যে। তবে মহিলা দর্শকরা যেন আরও বেশি উচ্ছ্বসিত ছিলেন নিজেদের জন্য। এভাবে নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন- বছরের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি কোহলির, পুণেতে ছুঁলেন রিকি পন্টিংকে, ভারত ৬০১
১৯৮১ সাল থেকে ইরানে পুরুষদের ম্যাচে মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ। তবে এই নিষেধাজ্ঞা আইনে কোথাও লেখা নেই। গত মাসে সাহার নামের এক মহিলা ফুটবল ভক্ত প্রিয় দল এস্তেঘলাল অফ তেহরানের খেলা দেখতে যান। ছদ্মবেশে গেলেও তাঁর মাঠে যাওয়ার কথা জানাজানি হয়ে যায়। এর পর সাহার গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন। অনেকেই বলেন, শাস্তির ভয়েই সাহার এমনটা করেছিলেন। গোটা ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে ফিফা। তারা ইরানকে সাফ জানিয়ে দেয়, মহিলাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। এর পর বাধ্য হয়েই মেয়েদের মাঠে প্রবেশের অধিকার দেয় ইরান প্রশাসন।
আরও পড়ুন- ফের মায়াঙ্কের সেঞ্চুরি, পুণে টেস্টের প্রথম দিন ভারতের দখলে
ইরান-কম্বোডিয়া ম্যাচের জন্য ৪৬০০ টিকিট মহিলাদের উদ্দেশে দেওয়া হয়েছিল। আলাদা গ্যালারিতে মহিলা ভক্তরা বসেছিলেন। আর এত বড় ইতিহাস চাক্ষুস করলেন ব্যারাকপুরের প্রাঞ্জল বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোদপুরের অসিত সরকার। ম্যাচ পরিচালনা করলেন প্রাঞ্জল। সহকারী রেফারি হিসাবে ছিলেন অসিত সরকার।