মুম্বই সিটি: ৫ (বিক্রম ২, ইগর অ্যাঙ্গুলো, মোর্তাদা ফল, বিপিন সিং)
এটিক মোহনবাগান: ১ (উইলিয়ামস)


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিজস্ব প্রতিবেদন: শেষ কবে সবুজ-মেরুন ৫-১ ব্যবধানে হেরেছে মনে পড়ে না। আন্তোনিও লোপেজ হাবাস (Antonio Lopez Habas) আইএসএল (ISL) কোচ হিসেবে আগেও হেরছেন। কিন্তু এর আগে ৫ গোলে লজ্জার হার হজম করে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়েননি। সেটাই অবশ্য হল বুধবার। গর্বের কোচিং করিয়ারে এমন কালো রাতও দেখলেন আইএসএল জয়ী কোচ। গোয়ার ফতোর্দা স্টেডিয়ামে গত মরসুমের জয়ী মুম্বই সিটি এফসি-র (Mumbai City FC) কাছে  ল্যাজেগোবরে হয়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করল এ বারের ডার্বি জয়ী দল। ময়দানে একটা প্রবাদ চালু আছে। ডার্বি জয়ী দল নাকি পরের ম্যাচে হেরে যায়। কিন্তু এই মোহনবাগান হারল কোথায়! দলটা তো তাদের চতুর্থ ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়ল! খারাপ রক্ষণের জন্য এই নিয়ে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে পরপর চার ম্যাচ হারলেন হাবাস। 


এটিকে মোহনবাগানের ডিফেন্সের ফাঁকফোকরকে কাজে লাগিয়ে জোড়া গোল করলেন তরুণ বিক্রম প্রতাপ সিং (Vikram Singh)। বাকি তিন গোল করলেন ইগর আঙ্গুলো, মুর্তদা ফল ও বিপিন সিং। সান্ত্বনা পুরষ্কারের মতো সবুজ-মেরুনের হয়ে একটি মাত্র গোল করলেন 'সুপার সাব' হিসেবে মাঠে নামা ডেভিড উইলিয়ামস। রয় কৃষ্ণা, হুগো বৌমস, জনি কাউকো এ দিন সবাই ম্লান। তাই তো পালতোলা নৌকা পতপত করে উড়তে পারল না। ডার্বির পরের ম্যাচেই লজ্জার হার এটিকে মোহনবাগানের। মুম্বইয়ের গতিশীল ফুটবলের বিরুদ্ধে লড়তে না পেরে ফিরল ৫ গোলের লজ্জা। 


গত বার এই মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তিনবারের লড়াইয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক করছিল বাণিজ্য নগরী। ১১ জুন ১-০ গোলে জেতার পর ফিরতি লিগেও জিতেছিল মুম্বই। সেই ম্যাচে এটিকে মোহনবাগান হেরেছিল ২-০ গোলে। এমনকি ফাইনালেও শেষ রক্ষা হয়নি। মেগা ফাইনালে সবুজ-মেরুনকে ২-১ গোলে হারিয়ে ট্রফি তুলেছিল সার্জিও লোবেরার দল। এ বার দল বদলেছে। মুম্বই শিবিরে একাধিক নতুন মুখ। তবে এটিকে মোহনবাগানকে দেখেলেই জ্বলে ওঠার ইতিহাসে বদল এল না। ডার্বি যুদ্ধে জয়ের হ্যাটট্রিক করা হাবাসকে টেক্কা দিয়ে গেলেন বিপক্ষের মাত্র ৩৬ বছরের কোচ ডেস বাকিংহ্যাম (Des Buckingham)। 


এ দিন আবার আইএসএল-এ নিজের শততম ম্যাচে খেলতে নেমেছিলেন প্রীতম কোটাল। ম্যাচের আগে তাঁর হাতে দলের জার্সি তুলে দেন হাবাস। কিন্তু দলের খেলায় সেই মরিয়া ভাব দেখা গেল না। ৪ মিনিটে বাঁদিক থেকে বিপিন সিং-এর মাটি ঘেঁষা পাশে শুভাশিস বসুকে বোকা বানিয়ে প্রথম গোল করেন বিক্রম প্রতাপ সিং। শুরুতেই এগিয়ে যায় মুম্বই। 



 



সেই গোলে খেই হারাতেই একের পর এক আক্রমণের ঝড় তুলতে থাকে মুম্বই। ২৫ মিনিটে ফের বিপিন সিং-এর পাস থেকে গোল করে দলের ব্যবধান ২-০ করলেন বিক্রম। অবশ্য এই গোলের ক্ষেত্রে পুরো দোষ গোলকিপার অমরিন্দর সিং-এর। তিনি এগিয়ে এলেও বলকে গ্রিপ করতে পারেননি। বল তাঁর গায়ে লেগে বিক্রমের কাছে আসতেই ফিরতি শটে গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন এই তরুণ। 


আরও পড়ুন: ISL 2021: Fowler-এর মতোই ফুটবলারদের প্রকাশ্যে সমালোচনা করলেন Manuel Diaz


দুই গোল হজম করে হাবাসের তখন চোখ-মুখ বদলে গিয়েছে। স্প্যানিশ কোচ রেগে আগুন। দলের সব বিভাগের ফুটবলাররা কার্যত ফ্লপ। ঠিক এমন সময় খেলার ৩৮ মিনিটে আবার গোল। এ বার জালে বল জড়িয়ে দিলেন ইগর আঙ্গুলো। ফলে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার অনেক আগেই সবুজ-মেরুনের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। শুরু থেকেই এটিকে মোহনবাগানের মাঝমাঠ ও রক্ষণের উপর প্রভাব ফেলেছিল মুম্বই সিটি। এর ফল মিলল হাতেনাতে। 


সবাই ভেবেছিল তারকাখচিত হাবাসের দল পিছিয়ে থাকলেও কামব্যাক করার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু সেটা হল কোথায়! বরং দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই জোড়া গোলদাতা বিক্রমকে অহেতুক ফাউল করে লাল কার্ড দেখলেন দীপক টাংড়ি। নিজে ডুবলেন। দলকেও ডোবালেন এই মিড ফিল্ডার। 


১০ জনের মোহনবাগানকে পেয়েই ৪-০ এগিয়ে গেল মুম্বই। ৪৭ মিনিটে পঞ্চম গোলটি করলেন মুর্তদা ফল। এরপর ৫২ মিনিটে দলের হয়ে পঞ্চম গোল করেন প্রথম দুই গোলে অ্যাসিস্ট করা বিপিন সিং।


গত বারের মতো এ বারও লাল-হলুদের শুরুটা ভাল হয়নি। মঙ্গলবার ওডিশা এফসি-র কাছে ৬-৪ গোলে হেরেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। এ দিন ডার্বি জয়ের পর মাঠে নেমে হাবাসের দল ৫ গোলের লজ্জা হজম করল।   


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)