নিজস্ব প্রতিবেদন: এটিকে মোহনবাগানকে (ATK Mohun Bagan) বিদায় জানিয়ে ক্লাবে খেলার পর এ বার তিনি চলে যাচ্ছেন নিজের শহর থেকে অনেক দূরে, বেঙ্গালুরুতে। আগামী মরসুমে প্রবীর দাস-কে (Prabir Das) দেখা যাবে বেঙ্গালুরু এফসি-র (Bengaluru FC) জার্সি গায়ে সুনীল ছেত্রীর (Sunil Chhetri) সঙ্গে মাঠে নামতে। ভারতীয় ফুটবলের সেরা তারকার সঙ্গে খেলতে নামার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে সোদপুরের প্রবীরের। ভারতীয় দলের (Indian Football Team) অধিনায়কের সঙ্গে সাজঘর থেকে শুরু মাঠে নামা, সবকিছু নিয়ে এখন থেকেই উত্তেজিত এই বঙ্গ উইঙ্গার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুনীলের সঙ্গে খেলা নিয়ে প্রবীর বলেন, "আমার একটা স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। ছোটবেলা থেকে আমার ইচ্ছা ও স্বপ্নও যে, সুনীল ভাইয়ের সঙ্গে একই দলের হয়ে মাঠে নামব। ওঁ একজন কিংবদন্তি। ওঁর মতো একজন ফুটবলারের সঙ্গে মাঠে নামতে পারলে আমার বহুদিনের স্বপ্নপূরণ হবে। অনেক কিছু শেখার আছে সুনীল ভাইয়ের কাছ থেকে। ওঁর মতো দীর্ঘদিন কী ভাবে ফুটবলে সাফল্যের সঙ্গে খেলে যাওয়া যায়, ওঁর কাছ থেকে তা জানার খুব ইচ্ছা আমার। এত দিন দীর্ঘক্ষণ বসে ওঁর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাইনি, কিন্তু এ বার সেই সুযোগ যখন পেয়েছি, তখন সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চাই। প্রতিদিনই সুনীল ভাই, গুরপ্রীত ভাইদের কাছ থেকে কিছু না কিছু শিখতে হবে আমাকে। ওঁদের সঙ্গে অনুশীলনে কবে প্রথম দেখা হবে, তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি।" 



এএফসি কাপ প্লে অফের দ্বিতীয় রাউন্ডের আগেই জানতে পারেন তাঁকে ফের একবার কলকাতা ছাড়তে হবে। নিজের শহরের প্রতি তাঁর একটা আবেগের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সেটা অস্বীকার করছেন না তিনি। তবে পেশাদার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে চান। প্রবীর যোগ করেন, "এত দিন নিজের শহরে থাকার পরে যা হয়, এত বছর ধরে এখানে খেলে একটা আবেগের সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে এই শহরের ফুটবলপ্রেমীদের সঙ্গে। খারাপ লাগছিল ঠিকই, তবে মেনেও নিতে হয়েছে। পেশাদারিত্বের নিয়মে একটা না একটা সময়ে হয়তো এই শহর ছেড়ে যেতেই হত। আসলে তখনই আবার নিজেকে ফিরে পেতে শুরু করেছিলাম। তাই এখানে থাকলে হয়তো ছন্দটা ধরে রাখতে পারতাম, নিজেকে আরও উন্নত করে তুলতে পারতাম। পরে শুনলাম, বেঙ্গালুরু এফসি আমার ব্যাপারে খুব আগ্রহ দেখিয়েছে। একজন খেলোয়াড়ের কাছে দিনের শেষে শ্রদ্ধা ও সন্মান পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।" 


প্রথমে মোহনবাগান, পরে এটিকে, তার পরে আবার এটিকে মোহনবাগান, এই তিন দলে সবচেয়ে স্মরণীয় তিনটি অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিলেন প্রবীর। তিনি বলেন, "মোহনবাগান আমার কাছে সবচেয়ে স্মরণীয়, কারণ, যে সময়ে মোহনবাগানে যোগ দিই, তখন অন্য কোনও ক্লাব আমাকে ডাকেনি। তখন থেকেই আমার ভাল পারফরম্যান্স করা শুরু হয়। সে বার আমাদের দল ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। যদিও আমি খেলতে পারিনি। তার পরে এটিকে-তে গিয়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া। যখন শুনলাম এটিকে আর মোহনবাগান এক হয়ে যাচ্ছে এবং আবার সবুজ-মেরুন জার্সি পরে মাঠে মামতে পারব, সে ছিল আরও একটা স্মরণীয় ঘটনা। খুব উত্তেজিত ছিলাম, নতুন সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে দেওয়ার জন্য। বহু বছর পরে প্রথমবার তা পরার পরে গায়ে কাঁটা দিয়েছিল, খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। তবে এটিকে মোহনবাগানের হয়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন না হওয়ার আফসোসটা রয়েই গেল।" 


বঙ্গ ফুটবলপ্রেমীরা প্রবীরকে খুব পছন্দ করেন। তবে এটিকে মোহনবাগানের হয়ে শেষ যে দিন মাঠে নামার আগেই নিজের ভবিষ্যৎ জানতে পেরেছিলেন। ভক্তদের অনেক মেসেজ পেয়েছেন। তাই সবুজ-মেরুন সমর্থকদের বিশেষ ধন্যবাদ জানালেন প্রবীর। 


আরও পড়ুন: Ranji Final 2022: চাপে মুম্বই, যশ দুবে-শুভম শর্মার জোড়া শতরানে ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখছে মধ্যপ্রদেশ


আরও পড়ুন: India vs Leicester: চেতেশ্বর পূজারাকে বোল্ড করে তাঁর ঘাড়ে উঠে পড়লেন মহম্মদ শামি, ভিডিও ভাইরাল


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)