জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মর্যাদার ডার্বির (Kolkata Derby) উত্তাপ ছড়িয়ে পড়লেও, এটিকে মোহনবাগান-এর (ATK Mohun Bagan) স্প্যানিশ কোচ জুয়ান ফেরান্দো (Juan Ferando) কিন্তু একে আর পাঁচটি ম্যাচের মতোই নিচ্ছেন। ইস্টবেঙ্গল এফসি-কেও (East Bengal FC) অন্য প্রতিপক্ষদের মতোই গুরুত্ব দিতে চান তিনি। তার বেশি কিছু নয়। প্রতিপক্ষের চেয়ে নিজের দল নিয়েই বেশি ভাবতে চান তিনি। তবে নিজেদের মাঠে, নিজেদের সমর্থকদের সামনে জেতা যে অবশ্যই বিশেষ ব্যাপার, তা স্বীকার করতে ভোলেননি ফেরান্দো। শুক্রবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকের উল্লেখযোগ্য অংশ এখানে তুলে ধরা হল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রশ্ন: এখন আর আপনার কাছে ডার্বি নতুন কিছু নয়। গতবার আইএসএল-এ ডার্বি খেলেছে আপনার দল। এ বার ডুরান্ড কাপেও খেলে এসেছেন। এ বার ইস্টবেঙ্গল এফসিকে গতবারের তুলনায় শক্তিশালী মনে হচ্ছে। এই ব্যাপারে আপনার কী মত?


ফেরান্দো: আমি আমার দল নিয়েই বেশি ভাবি। কারণ, প্রতিপক্ষ কেমন, তা তো আর আমার হাতে নয়। প্রতিপক্ষ ভালো দল। ওদের ভালো ফুটবলার আছে। কিন্তু আমি নিজের দলের উন্নতি নিয়ে বেশি ভাবি। সামনে অনেক ম্যাচ আছে। এটাই এখন আমাদের লক্ষ্য। ছোটখাটো ব্যাপারগুলোতে আরও উন্নতি করতে হবে আমাদের। তবে প্রতিপক্ষদের নিয়ে বেশি চিন্তা করছি না।


প্রশ্ন: গত ও চলতি মরসুমে আপনার দলের ট্রানজিশন বা ওঠানামায় অনেকবার সমস্যা দেখা দিয়েছে, যার ফলও ভুগতে হয়েছে আপনাদের। শনিবারের ম্যাচে এই সমস্যার মোকাবিলা কী ভাবে করবেন বলে ভাবছেন? 


ফেরান্দো: ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্নরকমের ব্যাপার ঘটে। অনেক সময় চাপের মুখে ছোটখাটো ব্যাপারগুলোর ওপর থেকে নজর সরে যায়। এটা ফুটবলেরই অঙ্গ। এই নিয়ে পরে আবার কাজ শুরু করতে হয়। এই প্রক্রিয়াটা মোটেই সোজা নয়। ছেলেদের সবসময়ই বলি পরিকল্পনা, কৌশল থেকে সরে গেলে চলবে না। ধাপে ধাপে এগুলো ঠিক হবে এবং দল আরও শক্তিশালী হবে। দলের পরিকল্পনাটা ঠিক থাকা খুব জরুরি। এএফসি কাপ সেমিফাইনালের মতো ম্যাচ হেরে গেলে হতাশা আসে ঠিকই। তবে অতীতটাকে তো আর বদলে ফেলা যায় না। বর্তমানের থেকে ভবিষ্যৎ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের কাছে।


প্রশ্ন: আপনার দল গোল পেতে শুরু করেছে। এ ছাড়া আর কী কী ইতিবাচক বিষয় নিয়ে আপনারা ডার্বিতে নামছেন এবং এই ম্যাচে আপনার প্রত্যাশা কী?


ফেরান্দো: প্রথম দুই ম্যাচে আনেক সুযোগ হাতছাড়া করেছি। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ওর চেয়ে অনেক ভাল পারফরম্যান্স করি আমরা। তবে একজন কোচের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, দলের খেলোয়াড়রা কতটা জায়গা ও সুযোগ তৈরি করতে পারছে এবং প্রতিপক্ষের গোলকিপারের সামনে কতটা তৎপর থাকতে পারছে। সে দিক থেকে গত ম্যাচে আমরা অনেক ভাল খেলেছি। এই পরিস্থিতিটা আমাদের পক্ষে অনেক ভাল। তবে আগেই বলেছি, অতীত নয়, ভবিষ্যৎ আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


আরও পড়ুন: ISL 2022-23, ATKMB vs EBFC: ফিরে দেখা শেষ চার ডার্বির বিশেষ মুহূর্ত


আরও পড়ুন: ISL 2022-23, ATKMB vs EBFC: জয়ের লক্ষ্যে খেলবে ইস্টবেঙ্গল, ডার্বি যুদ্ধের আগে সবুজ-মেরুনকে হুঙ্কার দিলেন স্টিফেন কনস্টানটাইন



প্রশ্ন: আপনার দলের বিদেশিরা বিশেষ করে ফ্লোরেন্তিন পোগবা ও ব্রেন্ডান হ্যামিল কি আপনার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছেন?


ফেরান্দো: বিদেশি ফুটবলারদের প্রধান লক্ষ্য থাকে দলকে সাহায্য করা। বিভিন্ন ক্লাবের বিদেশিদের একই উদ্দেশ্য থাকে। স্থানীয় ফুটবলারদের সাহায্য করে থাকে ওরা। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল ওরা যেন একই ভাবে খেলে যায়। আমি খুশি যে, আমাদের বিদেশিরা দলকে সাহায্য করে চলেছে। ছ’জন বিদেশিই অনুশীলনে তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। এটা ক্লাবের ও দলের পক্ষে খুবই ভাল।  


প্রশ্ন: দিমিত্রিয়স পেট্রাটস দলে এসে যাওয়ার পরে কি আপনার দলের আক্রমণের সমস্যা মিটে গিয়েছে?


ফেরান্দো: আমরা যখন আক্রমণে উঠি, তখন দলের সব ফুটবলারই গুরুত্বপূর্ণ। সবাই নাম্বার নাইনকে নিয়েই বেশি আগ্রহ দেখায় ঠিকই, কিন্তু আক্রমণে ওঠার সময় সবাই যার যার নিজের জায়গা তৈরি করে তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করে। যদি আমরা জনি কাউকো বা লিস্টন কোলাসোর গোল নিয়ে ভাবি, তা হলে সেটাই প্রমাণিত হয়। এটাই ফুটবল। এর ফলে কখনও সাফল্য আসে, কখনও আসে না। তাই এটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমার কাছে দলই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।


প্রশ্ন: গত ম্যাচেই হ্যাটট্রিক পাওয়ায় দিমিত্রিয়স পেট্রাটস ডার্বিতে অনেক বেশি ফোকাসে থাকবেন। প্রতিপক্ষও নিশ্চয়ই তাঁকে কড়া মার্কিংয়ে রাখবে। এর ফলে কি আপনার অন্যান্য স্কোরাররা বিপক্ষের গোলের সামনে আরও স্বাধীন ভাবে খেলতে পারবে ও গোলের সুযোগ পাবে বলে আপনার মনে হয়?


ফেরান্দো: একজন বা দু’জন ফুটবলারকে নিয়ে আলাদা করে আলোচনা করাটা বোধহয় ঠিক নয়। মাঠে ২২জন ফুটবলার মাঠে নামবে। তাদের প্রত্যেকের সামনেই সমান সুযোগ থাকবে। আগেও বলেছি, আমরা যদি দল হিসেবে খেলতে পারি, তা হলে কোনও বিশেষ ফুটবলারের দিকে বাড়তি মনযোগ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। দশ-কুড়ি বছর আগে হয়তো দু-একজন ফুটবলার তফাৎ গড়তে পারত। কিন্তু আধুনিক ফুটবলে ১১ জন ফুটবলারই সমান গুরুত্বপূর্ণ। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)