নিজস্ব প্রতিনিধি : মোবাইল বা টিভি হয়তো ভেঙে গিয়েছে। আপনি অকেজো ভেবে সেটাকে ফেলে দিয়েছে ডাস্টবিনে। জানেনও না, আপনার সেই বাতিল মোবাইল বা টিভি থেকে মহার্ঘ্য পদক তৈরি করে দিতে পারেন জাপানিরা। বিশ্বের অন্য কোনও দেশ হয়তো এখনও পর্যন্ত এমন উদ্ভাবনী চিন্তাধারা দেখাতে পারেনি। কিন্তু জাপান পেরেছে। আবিষ্কারের নতুন দিশা দেখাচ্ছে তারাই। ২০২০ টোকিও ওলিম্পিকে সোনা, রূপো ও ব্রোঞ্জের যে পদকগুলো প্রদান করা হবে তার সবটাই আসবে ইলেকট্রনিক বর্জ্য পদার্থ থেকে। অভাবনীয় উদ্যোগ। ওলিম্পিকের আয়োজকরা জানিয়েছেন, পাঁচ হাজার পদক তৈরিতে যে পরিমাণ সোনা, রূপো বা ব্রোঞ্জ লাগবে, তার সবটাই আসবে আরবান মাইনিং-য়ের মাধ্যমে৷


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  রাহুলের শেষ ক্যাচের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন, বিতর্ক উস্কে দিল অস্ট্রেলিয়া


চলতি বছরের এপ্রিল থেকেই তারা এই প্রোজেক্টে কাজ শুরু করেছে। বছর দুয়েক আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের দেওয়া তথ্য বলছে, সাড়া বিশ্বে ইলেকট্রনিক বর্জের পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি টন। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সেই বিপুল পরিমাণ বর্জ্য বিভিন্ন কাজে লাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। জাপান তাদের মধ্যে এগিয়ে। ইতিমধ্যেই জাপানিরা ইলেকট্রনিক বর্জ্য থেকে ১৬ কেজি সোনা, ১৮০০ কেজি রূপো সংগ্রহ করেছেন। আরও বেশ কিছুটা সোনা-রূপো সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছে ওলিম্পিক আয়োজক কমিটি। পুরনো মোবাইল, টিভি ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক জিনিস থেকে সংগৃহীত সোনা, রূপো দিয়েই তৈরি হবে ওলিম্পিকের সমস্ত পদক।


আরও পড়ুন-  TSK 25K RUN : শীর্ষে থাকার চ্যালেঞ্জ অবিনাশ-সুরিয়ার, এবার দৌড়বেন বাংলাদেশের ৬৭ বছরের 'যুবক'!


একমাত্র জাপানিরাই ইলেকট্রনিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের জন্য দিতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে চার কোটি বাতিল মোবাইল জোগাড় করে ফেলেছে তারা। সেখান থেকে সোনা সংগ্রহ করার কাজও প্রায় শেষ। টোকিও ওলিম্পিক অর্গানাইজিং কমিটির মুখপাত্র মাসা তাকায়া জানিয়েছেন, ৫৪.৫ শতাংশ সোনা এবং ৪৩.৯ শতাংশ রুপো সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। ইলেকট্রনিক বর্জ্য থেকে ওলিম্পিক পদক তৈরির এমন উদ্যোগ ক্রীড়া জগতের ইতিহাসে এই প্রথম। মনে করা হচ্ছে, জাপানের এমন আবিষ্কার অন্য দেশগুলোকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। বাতিল জিনিসপত্রকে নতুন কাজে লাগানোর প্রক্রিয়ায় উত্সাহ জুগিয়ে যাবে এশিয়ার দেশটি।