জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফ্রান্সের (France) তারকা ফরোয়ার্ড করিম বেঞ্জেমা (Karim Benzema) ২৪ ঘণ্টা আগেই জানিয়েছেন যে, তিনি আর দেশের জার্সিতে মাঠে নামবেন না। রহস্যময় পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় চমকে দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের (Real Madrid) মহারথী। নিজের ৩৫তম জন্মদিনেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন 'কিং করিম'বেঞ্জেমা। সুকৌশলে অবসরের ঘোষণা করে বেঞ্জেমা লিখেছিলেন, 'আমি চেষ্টা করেছি, ভুলও করেছি। তার জন্যই আজ আমি এখানে। এর জন্য আমি গর্বিত। আমার গল্প আমি লিখেছি। আমাদের গল্পটা শেষ হচ্ছে।' ২০০৭ সালে বেঞ্জেমা ফ্রান্সের জার্সিতে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রেখেছিলেন। ৯৭ ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ৩৭ গোল। তবে এই মুহূর্তে যা খরব তাতে করে মনে করা হচ্ছে যে, বেঞ্জেমা অবসর ভেঙে ফের জাতীয় দলে ফিরতে পারেন। তবে শর্ত একটাই। যদি দিদিয়ের দেশঁ (Didier Deschamps) হেড কোচের পদ থেকে সরে যান এবং জিনেদিন জিদান (Zinedine Zidane) দায়িত্ব নেন ফ্রান্সের। জানা যাচ্ছে আগামী জানুয়ারিতে ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নোয়েল লে গ্রায়েট বৈঠকে বসবেন দেশঁর সঙ্গে। তারপরেই নির্ধারিত হবে দেশঁর ভবিষ্যত। ফরাসি মিডিয়াতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে যে, দেশঁ চলে যাচ্ছেন। তাঁর জুতোয় পা গলাচ্ছেন ফরাসি কিংবদন্তি জিদান। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০২১-২২ মরসুমে রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতানোর নেপথ্যের কারিগর ছিলেন বেঞ্জেমা। সাদা জার্সিতে ফুল ফুটিয়েছেন তিনি। ৪৬ ম্যাচে তাঁর পা থেকে এসেছিল ৪৪ গোল। ১০টি গোল করাতে রেখেছিলেন নিজের অবদান। ৩৫ বছরের ফুটবলার লা-লিগায় করেছিলেন ২৭টি গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ১৫ বার বল তে-কাঠিতে পাঠিয়ে। এরমধ্যে প্যারিস সাঁ জাঁ ও চেলসির বিরুদ্ধে ছিল হ্যাটট্রিক। এদিন বায়ার্ন মিউনিখের সাদিও মানে ও ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কেভিন ডি ব্রুইনদের, পিছনে ফেলে বেনজেমা জিতেছেন ম্যাগাজিন ফ্রান্স ফুটবলের এই ঐতিহ্যবাহী ট্রফি। আর বেঞ্জেমার হাতে ট্রফি তুলে দেন জিদানই। ট্রফি হাতে নিয়ে বেনজেমা বলেছিলেন, 'ছোট থেকে স্বপ্ন দেখতাম, একদিন এই পুরস্কার পাব। সত্যি আজ গর্বিত ব্যালন ডি'অর হাতে ধরে। আমার জীবনে দুই রোলমডেল-জিজু (জিনেদিন জিদান) ও ব্রাজিলের রোনাল্ডো। আমি কখনও হাল ছাড়িনি। মাথার মধ্যে এটা রেখে দিয়েছিলাম যে, এই পুরস্কার পেতেই হবে। যে কোনও কিছু সম্ভব। একটা সময় ছিল, যখন আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলছিলাম না, ওই সময়টা অত্যন্ত কঠিন ছিল আমার জন্য। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। ওই কঠিন সময় আমাকে মানসিক ভাবে আরও শক্তিশালী করে তুলেছিল। নিজের কাজ নিয়ে আমি সত্যিই খুশি আজ'। বেঞ্জেমা জানিয়েছিলেন যে, কঠিন সময়ে জিদানই তাঁকে সমর্থন জুগিয়ে গিয়েছিলেন। জিদান তাঁর নিজের ছোট ভাইয়ের মতো দেখেন বেঞ্জেমাকে। ফলে জিদান কোচ হলে বেঞ্জেমার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত। তা বলাই যায়।


আরও পড়ুন: Explained | Emiliano Martinez: সোনার দস্তানা হাতে নিয়ে কেন অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন মার্টিনেজ?


গত রবিবার ফ্রান্স বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে গিয়েছে। এই ফাইনালে কিন্তু বেঞ্জেমাও খেলতে পারতেন। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগেই একের পর এক চোটে মিনি হাসপাতালে পরিণত হয়েছিল ফ্রান্স। সব চেয়ে বড় আঘাত ছিল বেঞ্জেমাকে না পাওয়া। থাইয়ের চোটের জন্য কাপ যুদ্ধ থেকে ছিটকে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। কোয়াড্রিসেপসে চোট লাগার জন্যই শেষ পর্যন্ত মাঠে নামা হয়নি তাঁর। কান্তে-পোগবার মতো তারকারা আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। সেই তালিকায় নাম লেখান বেঞ্জেমা। কাতারে পা রাখার পর চোটের জন্য ছিটকে যান ফরাসি ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিমপেম্বে। দেশঁর ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন এবারের ব্যালন ডি’ওর জয়ী বেঞ্জেমা। তবে বেঞ্জেমা চেয়েছিলেন দলের সঙ্গে কাতারে থেকে যেতে। তবে দিদিয়ের দেঁশ তাঁকে ফেরত পাঠিয়ে দেন। বেঞ্জেমা রিয়াল মাদ্রিদে গিয়ে ট্রেনিং শুরু করে ফিটও হয়ে যান। এমনকী রিয়ালও তাঁকে ফের বিশ্বকাপে ফিরে যেতে কোনও বাধা দেয়নি। কিন্তু দেশঁ তাঁকে আর ফিরিয়ে নেয়নি। এমনকী ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁও চেয়েছিলেন যে, বেঞ্জেমা খেলুক ফাইনালে। বেঞ্জেমার যখন ফাইনাল খেলা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে, ঠিক তখনই বেঞ্জেমা রহস্যময়ী পোস্ট করেন। তিনি ইনস্টায় একটি সেলফি পোস্ট করেছেন। তার ক্যাপশন দিয়েছেন, 'আমি পরোয়া করি না।'  কোথাও হয়তো বেঞ্জেমা অভিমান থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। তা বলাই যায়।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)