নিজস্ব প্রতিনিধি : মাইকেল ফেল্পস। নাম টা শুনলেই মনে হয় যেন সাঁতারের শুরু ও শেষ ওই নামেই। মার্কিন সাঁতারু ফেল্পসের মানেই সাঁতারের শেষ কথা। এতদিন পর্যন্ত এমনটা সত্যি ছিল। তবে দশ বছরের এক সুপারম্যান সেই মিথ ভেঙে দিল। ফেল্পসের প্রায় দুই যুগ পুরোনো রেকর্ড ভেঙে শোরগোল ফেলে দিল সেই দশ বছরের ছোট্ট ছেলে। সাঁতারের বিস্ময় বালক ক্লার্ক কেন্ট আপুয়াদাকে নিয়ে জলে ও ডাঙায়, দুই জায়গাতেই জোর চর্চা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ক্রিকেটার থেকে মন্ত্রী হয়ে গায়ক! লক্ষ্মীরতন শুক্লার গলায় এবার কিশোরের গান


ক্যালিফোর্নিয়ার মোরগায় ফার ওয়েস্ট ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ সাঁতারের ১০০ মিটার বাটারফ্লাই ইভেন্টে এই রেকর্ড গড়ল ক্লার্ক কেন্ট আপুয়াদা। ১.৯.৩৮ সেকেন্ড সময় নিয়েছে 'সুপারম্যান' নামে পরিচিত এই সাঁতারু। ১৯৯৫ সালে এই ইভেন্টে ১.১০.৪৮ সেকেন্ড সময়ে শেষ করে রেকর্ড গড়েছিলেন ফেল্পস। তাঁর চেয়ে ১ সেকেন্ডের কিছু বেশি সময় কম নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়ল আপুয়াদা।


আরও পড়ুন-  ২০১৯ আইপিএল দেশের বাইরে! হাত বাড়াচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা


এই টুর্নামেন্টে আপুয়াদা যতগুলো ইভেন্টে অংশ নিয়েছে, সব কটাতেই সে শেষ করেছে সোনার পদক জিতে। ২০০৮ অলিম্পিকে ফেল্পস যেমন পারফরম্যান্স করেছিলেন! সেবার অংশ নেওয়া সব কটা ইভেন্টে তিনিই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। সাত বছর বয়স থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি সাঁতারু ফেল্পসের রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন দেখছে আপুয়াদা। এক ভিডিও বার্তায় এই খুদে সাঁতারু বলেছে, 'আমি অনেক ছোট বয়স থেকে ফেল্পসের রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন দেখেছি। এতদিন বাদে সেটা পূর্ণ হল বলে দারুন লাগছে। অনেক প্রস্তুতি নিয়েছি এই জায়গায় পৌঁছনোর জন্য।'


আরও পড়ুন-  এবার সাইকেল নিয়ে স্টান্ট দেখালেন 'বাইকার' ধোনি


ফিফথ্ গ্রেডের এই খুদে সাঁতারু প্রায় চার বছর ধরে প্রতিযোগিতামূলক সাঁতারে অংশ নিচ্ছে। অলিম্পিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাঁতারু দলে জায়গা করে নেওয়াই তার আপাতত লক্ষ্য। ২০০০ অলিম্পিকে ফেল্পস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন মাত্র ১৫ বছর বয়সে। ফেল্পসের পায়ের ছাপই অনুসরণ করতে চায় আপুয়াদা। তার বাবা ছিলেন কমিক চরিত্র 'সুপারম্যান'-এর ভক্ত। এই চরিত্রের আসল নাম ক্লার্ক কেন্ট। এই নামে আপুয়াদার নাম রেখেছিলেন তার বাবা-মা। তখন থেকেই তাকে সবাই 'সুপারম্যান' নামে ডাকে। তার মা সিনথিয়ার বক্তব্য, 'সাঁতার শুরুর পর সবাই ওকে জলের সুপারম্যান নামে ডাকতে শুরু করে। কেন্ট বরাবরই খুব ফাস্ট। এক-এক সময় ওর গতি দেখে আমরাই অবাক হয়েছি।'