নিজস্ব প্রতিবেদন- এক কথায় ১৬ বছরের কেরিয়ারে দাড়ি টেনে দিলেন। কেউ কিছু আন্দাজই করতে পারেননি আগে থেকে। অবশ্য ধোনি বরাবরই এরকম। ২০১৪ সালে টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণাও তিনি করেছিলেন এভাবেই। আগে থেকে কাউকে কিছু জানতে বা বুঝতে দেননি। এবারও তাই। স্বাধীনতা দিবসের দিন সবাইকে অবাক করে অন্তজার্তিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে ফেললেন এম এস ধোনি। ভারতীয় ক্রিকেটে যেন একটা যুগের অবসান। গত বছর জুলাইয়ে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার পর থেকে আর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ধোনিকে দেখা যায়নি। এর মাঝে তিনি ভারতীয় সেনায় ডিউটি পালন করেছেন। তার পর থেকে রাঁচিতে পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটিয়েছেন।
ধোনির ম্যানেজার বলছিলেন, করোনার জন্য টি-২০ বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ায় মাহি অবসর ঘোষণা করলেন। না হলে টি-২০ বিশ্বকাপে খেলেই অবসর নেবেন বলে ঠিক করেছিলেন ধোনি। এবার মাহিল ছোটবেলার কোচ কেশব ব্যানার্জিও বললেন একই কথা। তিনি বললেন, ওর মাথায় কী চলে সেটা পড়ে ফেলা কঠিন। তবে আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন তা হলে বলব টি-২০ বিশ্বকাপ মাহি খেলত। ও আসলে চলতি বছরেই অবসরের পরিকল্পনা করে রেখেছিল। টি-২০ বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ায় ও অবসর নিল। আমার সঙ্গে ওর বারকয়েক কথা হয়েছে। তবে সত্যি বলতে একবারও ক্রিকেট নিয়ে কথা হয়নি।
১৯ সেপ্টেম্বর আইপিএল শুরু। তার আগে ১৪ অগাস্ট চেন্নাইতে প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিয়েছেন ধোনি। আর শিবিরে যোগ দেওয়ার একদিন পরই তিনি অবসরের ঘোষণা করলেন। কেশব ব্যানার্জির কাছেও ব্যাপারটা অবাক করার মতো মনে হয়েছে। তিনি বললেন, ''ভারতীয় দলে একজন বিশ্বমানের উইকেটকিপার এখন প্রয়োজন। ততদিন পর্যন্ত ধোনির উপস্থিতি সবাই অনুভব করবে। আমি ২৮ বছর ধরে ধোনিকে চিনি, জানি। বাড়িতে থাকলে ও ক্রিকেট নিয়ে কথা বলে না। তাই মনে হয় ওর এই সিদ্ধান্তের কথা বাড়ির কেউও আগে জানত ন। আর ধোনি নিজেই নিজেকে বিচার করতে পারে সব থেকে ভাল। ওর মনে হয়েছে এই সময়টাই অবসর ঘোষণার জন্য সেরা। তাই ও অবসর নিয়েছে। আমাদের খারাপ লাগছে ঠিকই। তবে এটা ধোনির সিদ্ধান্ত। ওর যেটা মনে হয়েছে ও করেছে।''