অষ্টমীতে কলকাতার জয়জয়কার, দিল্লিকে হারিয়ে প্লে-অফের আরও কাছে নাইটরা
খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে ছিল কেকেআর।
নিজস্ব প্রতিবেদন- অষ্টমীতে এক নতুন তারকা পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। বরুণ চক্রবর্তী। তবে দলের আরেক মিস্ট্রি স্পিনার সুনীল নারিনও কম যান না। নারিন এদিন ভূমিকা বদল করলেন। ব্যাট হাতে ৩২ বলে করলেন ৬৪ রান। অর্থাৎ ঝড়ের মতো ইনিংস খেললেন। আর দলের আরেক মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী এদিন একাই তুলে নিলেন পাঁচ উইকেট। তবে আরেকজনের কথা বলতেই হয়। তিনি নীতিশ রানা। ব্যাট হাতে এদিন তিনি অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলেন।
খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে ছিল কেকেআর। এদিন হারলে প্লে-অফে যাওয়ার আশা কার্যত শেষ হতে পারত। কিন্তু বাঘের মুখ থেকে ফিরে এল শাহরুখের দলের ছেলেরা। দিল্লিকে ৫৯ রানে হারিয়ে প্লে-অফের আরও কাছে চলে গেল কেকেআর। বলাবাহুল্য, শেষ চারে যাওয়ার লড়াইটা কলকাতার কাছে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাও আবার দিল্লির মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে সেই লড়াই আরো কঠিন হবে বলে মনে করেছিলেন কেউ। তবে আপাতত স্টার মার্কস নিয়ে উতরে গেল নাইটরা। টসে জিতেও এদিন কেকেআরকে ব্যাটিং করতে পাঠান দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। শুভমান গিল কম রানে ফিরে যান। রাহুল ত্রিপাঠী ১৩ রানে ফিরে যাওয়ার পর কেকেআরের ইনিংস বেশ নড়বড়ে দেখাচ্ছিল। দীনেশ কার্তিক ব্যাটিংয়ে ফোকাস করতে চান বলে অধিনায়কত্ব ছেড়ে ছিলেন। তিনি এমনটাই জানিয়েছিলেন। তবে এদিন কার্তিক রান পেলেন না। সেই আফসোস অবশ্য ঘুঁচিয়ে দিলেন সুনীল নারিন। নীতিশ রানা ৫৩ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেললেন। ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৯৪ তুলল কলকাতা।
আরও পড়ুন- অষ্টমীর সকালে এল খবর, ভাল আছেন কপিল দেব
সাড়ে ১৫ কোটি টাকার পেসার প্যাট কামিন্স এদিন জ্বলে উঠলেন। প্রথম বলেই আউট করলেন রাহানেকে। এরপর শিখর ধাওয়ান বোল্ড। শুরুতেই ধাক্কা সামলাতে পারল না দিল্লি। এরপর ঋষভ পান্থ ও শ্রেয়াস আইয়ার ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন। কিন্তু তাঁদের সফল হতে দিলেন না কেকেআরের মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। পাঁছ উইকেট তুলে নেন তিনি। একবার হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েছিলেন। সুনীল নারিনের পর কেকেআরের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে তিনি এক ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন।