শতরান না পেয়েও এলিট তালিকায়, তবুও নিজেকেই ‘গালমন্দ’ করলেন বিরাট
এই ম্যাচ জিতে সিরিজে কামব্যাক করছে ভারত, এটাই এখন ট্রেন্ট ব্রিজের একমাত্র ভবিতব্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সৌরভ-সচিনরা এতদিন যে চক্রবূহ্য-তে এসে ‘জীবন’ দিয়েছেন, সেই একই ‘হাঁড়িকাঠে মাথা কাটা’ গেল বিরাটেরও। ক্রিকেটীয় পরিভাষায় যাকে বলে নার্ভাস নাইনটি। অতীতে সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা ৯০-এর কোটায় এসে যে ভাবে উইকেট খুইয়েছেন তেমনই দৃষ্টান্ত মিলল ট্রেন্ট ব্রিজেও। স্নায়ুর খেলায় যে বিরাট বলে বলে বাজিমাত করে, সেই বিরাটেরই কি না ভুল হল! ৯৭ রানে দাঁড়িয়ে কি না একটা সাধারণ বলে নিজের মূল্যবান উইকেট দিয়ে এলেন! যেটা মেনে নিতে পারছেন না বিরাট কোহলি নিজেই ।
"আমি কোনওদিনই কপিল হতে চাই না", বললেন হার্দিক
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০০৭ সালে ইংল্যান্ড সিরিজে ৯১ রানে আউট হয়ে হতাশ হয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। সচিন ৯১ রানেই উইকেট দিয়েছিলেন ২০০২ ইংল্যান্ড সফরেও। এই তালিকায় নিজের নাম জুড়েছিলেন কলকাতার মহারাজও। একেবারে শতরানের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ৯৯ রানে উইকেট দিয়েছিলেন সৌরভ। ইংল্যান্ডে সেই অতীতই ফিরিয়ে আনলেন বিরাট।
অ্যান্ডারসন নয়, ট্রেন্ট ব্রিজে আদিল রাশিদেরই শিকার হয়েছেন বিরাট। অতীতে সাধারণ একটা ডেলিভারিতে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল স্লিপে তালুবন্দি হয়েছে। ক্যাচ ফসকে যাওয়ার সুযোগটাই দেননি বেন স্টোকস। স্বাভাবিক ভাবেই এত কাছে এসেও অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারার কারণেই দেখা গিয়েছে বিরাটোচিত হতাশাও। প্যাভিলিয়ন ফেরত যাওয়ার সময় বার তিনেক ‘F**K OFF’ বলতেও শোনা গেল ভারত অধিনায়ককে।
ট্রেন্ট ব্রিজে অ্যাডভান্টেজ টিম ইন্ডিয়া
তবে এই না পাওয়ার যন্ত্রণা বেশিক্ষণ বইতে হয়নি তাঁকে। বুমরাহ, ঈশান্ত আর হার্দিকদের বিপ্লবে ব্রিটিশ ব্যাটসম্যানরা একে একে বিফল হয়ে ফিরে যেতেই হাসি ফিরেছে বিরাটের মুখে। ৩৯ ওভারও খেলা গড়াল না, সিরিজে ২-০ এগিয়ে থাকে ইংল্যান্ডের একেবারে লেজে গোবরে অবস্থা। ৬ ওভার বল করে ৫ উইকেট তুলে নিলেন হার্দিক। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সাবলীল ও স্বাচ্ছন্দে ব্যাট করলেন ধাওয়ান, রাহুল, পূজারা। শতরানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন কোহলিও। লিড ৪০০ ছাড়িয়েছে। এই ম্যাচ জিতে সিরিজে কামব্যাক করছে ভারত, এটাই এখন ট্রেন্ট ব্রিজের একমাত্র ভবিতব্য। ইতিহাস বলছে এই মাঠে এখনও তিনশোর ওপর রান তাড়া করে জেতেনি কোনও দলই। এরপর ইংল্যান্ড দল যেভাবে প্রথম ইনিংসে মুষড়ে গেছে তাতে কেবল ভারতের জয়-ই দেখছে বিশেষজ্ঞরা।