সুখেন্দু সরকার


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জামাইকায় ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টেস্টে কী হচ্ছে? ধোনি কবে অবসর নেবেন? পুজোর আর কদিন বাকি? কিংবা ট্রেনে-বাসে-ট্রামে চারিদিক থেকে রানু মণ্ডলের আ-আ-আ সুর আজ অনেকটা কম কানে আসছে।  সব আলোচনা ভুলে রবিবার বাঙালি মাতবে তাদের দেড়শ বছরের ঐতিহ্যের বড় ম্যাচ নিয়ে। যা বাঙালির চিরকালীন ফুটবল আবেগ। মাছে-ভাতে বাঙালির শিরা-উপশিরায়, হাসি-কান্নায়, সুখে-দুঃখে বঙ্গ জীবনের অঙ্গ হয়ে আষ্টে-পিষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে ঘটি-বাঙালের চিরন্তন ফুটবল আবেগ-সাধের বড় ম্যাচ।


আরও পড়ুন-  রাস্তায় জিমন্যাস্টিকস দেখাল স্কুল পড়ুয়া! মুগ্ধ হয়ে দেখা করতে চাইলেন ক্রীড়ামন্ত্রী



ডাঙায় ইলিশ-চিংড়ির যুদ্ধ ঘিরে আজও মেতে ওঠে এ বঙ্গ। স্বাধীনতার আগে, সেই ১৯২৫ সাল থেকে শুরু বড় ম্যাচের ইতিহাস। রবিবারপয়লা সেপ্টেম্বর ৩৬৮তম কলকাতা ডার্বিতে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। পরিসংখ্যান বলছে, জয়ের দিক থেকে এগিয়ে লাল-হলুদ। যেখানে ১২৯ ম্যাচে জিতেছে ইস্টবেঙ্গল সেখানে মোহনবাগান জিতেছে ১১৮ ম্যাচে আর ড্র হয়েছে ১২০ বার। রবিবার দুপুর ৩ টায় শুরু মহারণ।


রবিবার যুব ভারতীতে ইস্ট-মোহন দ্বৈরথ-এ স্প্যানিশ ডুয়াল। দুই দলের সিংহভাগ বিদেশি স্প্যানিশ। দুই দলের কোচও স্প্যানিশ। ভিকুনা বনাম আলেসান্দ্রোর লড়াই।  লড়াই বেইতিয়া বনাম কোলাডো।  কিন্তু ডার্বির আগে দুই দলই আড়ালে। শনিবার ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান দুই দলের অনুশীলন ক্লোজ ডোর।  ইস্টবেঙ্গল অবশ্য সেট পিসে বেশি জোর দিচ্ছে। মাঝমাঠে নেতৃত্ব দেবেন কোলাডো।  গোলের জন্য বিদ্যাসাগরের দিকেই তাকিয়ে লাল হলুদ শিবির। অন্যদিকে মোহনবাগান দলের ইঞ্জিন জোসেবা বেইতিয়া। গোলের জন্য সালভা চামারোর দিকেই তাকিয়ে বাগান শিবির।  


আরও পড়ুন-  দল থেকে বাদ, ধোনির কিছু যায় আসে না! আমেরিকায় রয়েছেন মেজাজে


গত মরশুমে দুটি ডার্বিতেই জয় পেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেসান্দ্রো। ডার্বিতে তিনি এখনও অপরাজিত। রবিবার জিতলেই হ্যাটট্রিক করবেন তিনি। তবে এসব পরিসংখ্যান নিয়ে না ভেবে ৩ পয়েন্টের লক্ষ্যে লাল-হলুদ কোচ। অন্যদিকে মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনার আগামিকাল ডার্বি অভিষেক। তবে ইস্ট বেঙ্গল নিয়ে সব হোম ওয়ার্ক করে রেখেছেন কিবু। নিজের নোট বুকে লাল-হলুদের সব খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করা আছে ভিকুনার। অঙ্ক কষেই এগোতে চান বাগানের স্প্যানিশ কোচ। তবে এই ম্যাচের ফলাফল লিগের ভাগ্য নির্ধারণ করবে না বলেই মনে করছে দুই শিবির। 


এখন আর সত্তর বা আশির দশকের মতো কথার লড়াই নেই, যা আছে সেটা পরতির দিকে। জমানা বদলেছে- এখন কথার লড়াই চলে ফেসবুকে। বাঙালির ফুটবল আবেগ আজ সেলফিতে বন্দি। সময় বদলেছে, বদলেছে অনেক কিছুই। ম্যাচের আগেরদিন এখন রুদ্ধদ্বার অনুশীলন হয়। তবু বদলায়নি বড় ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনা-আবেগ । আর একে অপরকে টিপ্পনি কাটা। হয়তো তার প্রকাশ বদলেছে। রবিবার ৯০ মিনিটের ফুটবল দ্বন্দ্বে  দ্বিধাবিভক্ত বাংলার ডেস্টিনেশন যুবভারতী।