কলকাতায় করোনা আতঙ্কের মাঝেই গান স্যালুটে বিদায় কিংবদন্তি ফুটবলারকে
গান স্যালুটে বিদায় দেওয়া জানানো হয় প্রয়াত প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কে ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বজুড়ে মারণ ভাইরাসের ভীতি জাঁকিয়ে বসেছে। করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে কলকাতাকেও। এসবেরই মাঝেই শুক্রবার দুপুরে এল দুঃসংবাদ। আর নেই পিকে ব্যানার্জি। নিভে গেল ভারতীয় ফুটবলের প্রদীপ। প্রয়াত কিংবদন্তি পদ্মশ্রী পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ রোগভোগের পর শুক্রবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিত্সকরা দুপুর দুটোর পর সরকারিভাবে তাঁর মৃত্যুর কথা জানান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তাঁর প্রয়াণে ভারতীয় ফুটবলে একটা অধ্যায়ের সমাপ্তি হল।
বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মরদেহ নিয়ে আসা হয় তাঁর সল্টলেকের বাসভবনে। সেখানেই কিংবদন্তি ফুটবলারকে শেষ শ্রদ্ধা জানান সুভাষ ভৌমিক, সুব্রত ভট্টাচার্যসহ প্রাক্তন ফুটবলাররা। ছিলেন দুই প্রধানের কর্তারাও। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও।
ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-মহমেডানে না খেললেও ভারতীয় ফুটবলে কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন পিকে ব্যানার্জি। কিংবদন্তির প্রয়ানে গভীর শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
করোনা সচেতনতার কারণে কোথাও যাতে বেশি জমায়েত না হয় সেই কারণে ময়দানে নিয়ে যাওয়া হয়নি পিকে-র মরদেহ। সল্টলেক থেকে কিংবদন্তি ফুটবলারের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় একেবারে নিমতলা মহাশ্মশাণে। সেখানেই গান স্যালুটে বিদায় দেওয়া জানানো হয় প্রয়াত প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কে। হাসপাতাল থেকে নিমতলা মহাশ্মশাণ কিংবদন্তির শেষযাত্রায় সঙ্গে ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
পিকে ব্যানার্জির মৃত্যুতে দিল্লিতে ফেডারেশনের সদর দফতর ফুটবল হাউসে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে । শোকবার্তা জানিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনসও।
আরও পড়ুন - প্রয়াত ময়দানের প্রিয় 'পিকে'; শ্রদ্ধাজ্ঞাপন সচিন-সৌরভ-বাইচুংয়ের