নিজস্ব প্রতিবেদন - দেখতে দেখতে কেটে গেছে ২০ বছর। ২০০১ সালের ১৪ই মার্চ ইডেনে সেই অমর জুটি গড়েছিলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ ও রাহুল দ্রাবি়ড়। ফলো-অন করার পরেও সেই ম্যাচে জেতে সৌরভ গাঙ্গুলির ভারত। এই ম্যাচকেই ভারতের আধুনিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরুর সন্ধিক্ষণ হিসেবে মনে করা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০০১ সালের ১৪ই মার্চ ছিল দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন। তৃতীয় দিনের শেষেই ৪টি উইকেট পড়ে যায় ভারতের। ফিরে গিয়েছিলেন সচিন, সৌরভরা। এরপরই পঞ্চম উইকেটে ৩৭৬ রানের পার্টনাপশিপ গড়েন লক্ষ্মণ ও দ্রাবিড়।


আরও পড়ুন - একদিনের ক্রিকেটে ৭০০০ রান, অনন্য নজির মিতালি রাজের


তৃতীয় দিনের শেষে লক্ষ্মণ ১০৯ রানে ও দ্রাবিড় ৭ রানে অপরাজিত থেকে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। প্রথম টেস্টে স্টিভ ওয়দের কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার পরে দ্বিতীয় টেস্টেও একই পরিণতি হবে বলে ধরে নিয়েছিলেন আপামর ভারতীয় ক্রিকেট জনতা। কিন্তু অন্য পরিকল্পনা ছিল এই দুজনের। চতুর্থ দিনে ৩৩৫ রান যোগ করেন দুজনে। লক্ষ্মণ ২৭৫ রানে ও দ্রাবিড় ১৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন। পঞ্চম দিনে ২৮১ করে আউট হন ভিভিএস ও ১৮০ করে রান আউট হয়ে ফেরেন ভারতীয় ক্রিকেটের ‘দ্য ওয়াল’।


এরপর বাকি কাজ সারেন হরভজন সিং। প্রথম ইনিংসে হ্যাটট্রিকের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৬টি উইকেট নিয়ে গুঁড়িয়ে দেন অজিদের। টানা ১৬টি টেস্ট জেতার পর এই ম্যাচে হারতে হয়েছিল স্টিভের অস্ট্রেলিয়াকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন সচিনও।


এরপর চেন্নাইতে তৃতীয় টেস্ট জিতে সিরিজ জিতে নেয় ভারত। পরে সৌরভও জানান যে এই ম্যাচই ভারতীয় ক্রিকেটের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। স্টিভ ওয় পরে বলেন যে বিপক্ষ অধিনায়ক হিসেবে লক্ষ্মণের ইনিংস দেখা খুবই কষ্টকর।