Lionel Messi: এমবাপে, নাদালকে হারিয়ে লেকিপ চ্যাম্পিয়ন অব দ্য ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নস মুকুট এবার মেসির মাথায়
কাকতালীয়ভাবে ১১ বছর আগে লেকিপের এই পুরস্কার জিতেছিলেন মেসিই। এবার পুরস্কারটি জিততে মেসি পেছনে ফেলেছেন ২০২২ সালে দুটি গ্র্যান্ডস্ল্যামজয়ী (অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ফ্রেঞ্চ ওপেন) জেতা নাদালকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১৯৪৬ সাল থেকে ফ্রান্সের সব খেলার মধ্যে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন করে আসছে সেই দেশের অন্যতম পত্রিকা লেকিপ (L Equipe)। ১৯৭৫ সাল থেকে আরও একটি পুরস্কার সংযোজন করে সেই সংস্থা। ফ্রান্সের সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে তারা দিতে শুরু করে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নস পুরস্কার (Champions of Champions Award)। এর মানে বিশ্বের সব খেলার সেরাদের মধ্যে সেরা খেলোয়াড়ের মুকুট। এবার সেই মহার্ঘ্য পুরস্কার জিতলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। হারিয়ে দিলেন কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe), রাফায়েল নাদাল (Rafael Nadal), করিম বেঞ্জিমাদের (Karim Benzema) মতো তারকাদের।
এবার বিশ্বের সব খেলার সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন আর্জেন্টিনার (Argentina) অধিনায়ক। এমন নয় যে ফুটবল বিশ্বকাপ জিতলেই তিনি বিশ্বের সব খেলার সেরা খেলোয়াড়ের মধ্যে সেরা হয়ে যাবেন। ১১ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনও ফুটবলার পুরস্কারটি জিতলেন। গত ১১ বছরে দুটি বিশ্বকাপ হয়েছে, কিন্তু কোনও ফুটবলার এই পুরস্কার জিততে পারেননি।
কাকতালীয়ভাবে ১১ বছর আগে লেকিপের এই পুরস্কার জিতেছিলেন মেসিই। এবার পুরস্কারটি জিততে মেসি পেছনে ফেলেছেন ২০২২ সালে দুটি গ্র্যান্ডস্ল্যামজয়ী (অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ফ্রেঞ্চ ওপেন) জেতা নাদালকে।
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় ফ্রান্স। দারুণ পারফরম্যান্স করেও হার মেনেছিলেন এমবাপে। এই তারকা স্ট্রাইকার জিতেছেন ফ্রান্সের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা এমবাপে পেছনে ফেলেছেন ব্যালন ডি'ওর–জয়ী রিয়াল মাদ্রিদের স্ট্রাইকার করিম বেঞ্জিমা ও ২০২২ শীতকালীন অলিম্পিক্সে দুটি সোনা জেতা বাইঅ্যাথলেট কুয়েনতিন ফিলো মাইলেতকে।
এই বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয় লেকিপের সম্পাদকীয় বিভাগের সাংবাদিকদের ভোটে। নির্বাচনের র্যাঙ্কিং করা হয় গোপন ব্যালটে ভোটের ভিত্তিতে। ভোট দেওয়ার সর্বশেষ তারিখ ছিল গত ২০ ডিসেম্বর। প্রত্যেক সাংবাদিক মনোনীত অ্যাথলেটদের মধ্যে পাঁচজনকে বেছে নিতে পারেন। প্রত্যেক সাংবাদিকের ব্যালটে প্রথম হওয়া খেলোয়াড় পান ৬ পয়েন্ট, দ্বিতীয় হওয়া খেলোয়াড় পান ৪ পয়েন্ট। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম হওয়া খেলায়াড় পান যথাক্রমে ৩, ২ ও ১ পয়েন্ট। সেই সাংবাদিকদের সুবাদে মেসি এবার এই পুরস্কার জিতলেন।